Study LightsStudy Lights

Blog Details

  • Home
  • Blog
  • Blog
  • ক্যাশ মেমরি কি? কম্পিউটারের কেন ব্যবহার করা হয়?

ক্যাশ মেমরি কি? কম্পিউটারের কেন ব্যবহার করা হয়?

আজকে আমরা কম্পিউটারের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় ক্যাশ মেমরী নিয়ে কথা বলবো সেটা আমরা কয়েকটি ভাগে ভাগ করে বলবো;

ক্যাশ Memory কেনো এলো ?
Cache মেমোরির প্রকারভেদ ( L1, L2, L3 )
ক্যাশ মেমরি কি করে কাজ করে ( ল্যাপটপে ) ?
ল্যাপটপের ক্যাশ আর মোবাইলের ক্যাশ একই জিনিস না আলাদা ?
অ্যাপ্লিকেশন ক্যাশ কি জিনিস ?
ক্যাশ ক্লিনিং কি ?
আমাদের কখন ক্যাশ ক্লিন করা উচিত ?

ক্যাশ মেমরি কেনো এলো ?

আধুনিক কম্পিউটারের প্রাণ হলো সিপিইউ বা সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট আর সেই সিপিইউ এর হৃৎপিণ্ড হলো প্রসেসর ; একটু খেয়াল করলে দেখতে পাবেন, সেই প্রসেসরের একটা কার্যকরী ক্লকস্পিড থাকে; উদাহণস্বরূপ, আমার i5 8300H প্রসেসরের বেস ফ্রিকুয়েন্সি হলো ২.৩ গিগাহার্টজ, যা টার্ববুষ্ট করলে ৪ গিগাহার্টজ  পর্যন্ত হয়।

এবার আসি প্রসেসর যেখানকার ফাইল নিয়ে কাজ করে, সেই ডিস্ক ড্রাইভের কথায়; যেখানে  প্রসেসর ২৩০০০০০০০০ হার্টজ এর বেস ফ্রিকোয়েন্সি তে কাজ করে ; সেখানে ৭২০০ আরপিএম এর দৈনন্দিন হার্ড ডিস্কের ফ্রিকোয়েন্সি হলো ( ৭২০০/৬০ = ১২০ হার্টজ) ;যা প্রসেসরের ধারে কাছেও নেই ; তাই শুধু প্রসেসর আর হার্ডডিস্ক দিয়ে কোনো সিস্টেম তৈরি হলে সেই সিস্টেমে গুগল ক্রোম ওপেন হতেই ১ ঘণ্টা লেগে যেত ; কারণ, প্রসসর ২.৩ গিগাহার্টজ এর কর্মক্ষম হলেও সে সর্বোচ্চ ১২০ হর্টজ এ কাজ করতে পারতো; এই সমস্যা দুর করার জন্য আমরা একটা নতুন হার্ডওয়ার বানালাম, যা আমাদের সকলের খুব চেনা….. হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন, এটা হলো RAM বা র‍্যান্ডম অ্যাকসেস মেমরি ;

কিন্তু সমস্যা হলো, এই RAM, তাড়াতাড়ি কাজ করতে পারলেও; সমস্যা রয়েছে মেশিন অফ করলেই, এর সব তথ্য উবে যায়। তাই একে ভোলাটাইল মেমরি ( উড়ে যাওয়া মেমরি ) ও বলে;

অগত্যা, কি করা যায়…. বিজ্ঞানীরা ভাবতে বসলেন ; ভাবতে ভাবতে, তাদের মাথাতে এলো একটা নতুন ধরনের কনসেপ্ট;যা RAM এর মত ফাস্ট হবে আবার উড়েও যাবে না। এরই নাম SRAM বা Static Random Access Memory, যাকে আমরা ক্যাশ মেমরি (Cache Memory) নামে চিনি।

Cash মেমোরির প্রকারভেদ ( L1, L2, L3 )

অবস্থান ও কার্যকারিতার উপর ভিত্তি করে তিন রকমের ক্যাশ মেমোরি দেখতে পাওয়া যায়; লেভেল ১, লেভেল ২ ও লেভেল ৩ ক্যাশ; সংক্ষেপে আমরা যাকে L1, L2 আর L3 Cache নামে চিনি; প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, L3 ক্যাশ পুরোনো দিনের কম্পিউটারে দেখতে পাওয়া যায় না। যাইহোক, এদের সম্পর্কে সংক্ষেপে বলা যাক;

লেভেল ১ ক্যাশ প্রসেসরের মধ্যেই লাগানো থাকে। এই ক্যাশের সাইজ হয় সাধারণত ২ থেকে ১২৮ কেবির মধ্যে। এই এল১ ক্যাশ, তিন প্রকার ক্যাশ মেমোরির মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত ও সবচেয়ে দামী, যার জন্য এটা এত কম পরিমাণে থাকে। যাইহোক, এই এল১ ক্যাশের মধ্যে দুটো সেক্টর থাকে, যা ডেটা ক্যাশ ও ইনস্ট্রাকশন ক্যাশ নামে উল্লিখিত। নাম শুনেই বুঝতে পারছেন আশা করি এর কি কাজ…তাই এটা নিয়ে আর বেশি বলছি না।

এবার আসি এল ২ আর ৩ ক্যাশের কথায়। এরা সাধারণত সিপিউর ভেতরেই থাকে, কিন্তু কোনো কোনো ক্ষেত্রে জায়গার অভাবে এদের সিপিউর বাইরেও রাখা হয়। সেসব ক্ষেত্রে, এরা উচ্চগতির সম্পন্ন বাস ( রাস্তায় চলা বাস নয় কিন্তু ) দ্বারা সিপিউর সাথে যুক্ত থাকে। এদের সাইজ লেভেল১ ক্যাশের থেকে বেশি হয়। উদাহণস্বরূপ আমার i5 8300H এ L2 ও L3 এর পরিমাণ হল যথাক্রমে ৫১২ কেবি ও ৮ এমবি।

ক্যাশ মেমরি কি করে কাজ করে ( ল্যাপটপে ) ?

সিপিইউ র কোনো ডেটা যদি দরকার হয়, তবে তা প্রথমে খোঁজে লেভেল ১ ক্যাশের কাছে। যদি সে ওই ডেটা খুঁজে পায়, তবে তাকে বলে ক্যাশ হিট (Cache Hit), আর যদি না পায়, তবে তাকে বলে ক্যাশ মিস। এভাবে লেভেল ১ ক্যাশ মিস হলে সিপিইউ লেভেল ২ > লেভেল ৩ > র্্যাম এর কাছে যায়। এদের কাছেও যদি না পায়, তবে মেন স্টোরেজ বা হার্ড ডিস্কের কাছে খোঁজ লাগায়।

ল্যাপটপের ক্যাশ আর মোবাইলের ক্যাশ একই জিনিস না আলাদা ?

এতক্ষণ পড়ে, আশা করি আপনারা ক্যাশ মেমোরি কি আর এর কাজ কি তার মোটামুটি একটা ধারণা পেয়েছেন। এবার তবে। আসল প্রশ্নে আশা যাক। মোবাইল এর ক্যাশ। মোবাইলে আমরা যে ক্যাশ দেখি, সেটা হলো অ্যাপ্লিকেশন ক্যাশ। উদাহণস্বরূপ,

বুঝতেই পারছেন, এই ক্যাশ আসলে ক্যাশ মেমোরি নয়। নয়তো, ক্যাশ মেমোরির যা দাম, তাতে উপরোক্ত, ১৩৮ এমবি ক্যাশের জন্য মোবাইলের দাম কোটি টাকা ছাড়াতো। এই ক্যাশ আসলে প্রত্যেকটা অ্যাপ্লিকেশন এর টেম্পোরারি ডেটা। চলুন তবে একটা উদাহরণ দিয়ে বিষয়টা বোঝা যাক।

অ্যাপ্লিকেশন ক্যাশ কি জিনিস ?

একটা এক্সপেরিমেন্ট করে দেখা যাক। ফার্স্ট এ আমি ক্রোম খুললাম;

দিয়ে একটা ওয়েবপেজ খুললাম;

এবার, আমি আমার ডেটা কানেকশন বন্ধ করলাম;

দিয়ে আমার মেমোরি থেকে গুগল ক্রোম সরিয়ে দিলাম;

দিয়ে আমি আবার ক্রোম খুললাম;

বুম। ম্যাজিক ……

দেখুন নেট ছাড়াই আমার শেষবার দেখা ওয়েবপেজ টা লোড হয়ে গেলো।

কারণ,

আশা করি এবার বুঝতেই পারছেন অ্যাপ্লিকেশন ক্যাশের মাহাত্ম্য ?

ক্যাশ ক্লিনিং কি ?

এবার আসি শেষ টপিক, ক্যাশ ক্লিনিং। নাম শুনে বুঝতেই পারছেন, ক্যাশ ক্লিনিং মানে হলো বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনের টেম্পোরারি ফাইল পত্তর delete করা, যাতে করে একটু ফ্রি স্পেস পেতে পারেন অন্যান্য কাজের জন্য।

আমাদের কখন ক্যাশ ক্লিন করা উচিত ?

সাধারণত, সপ্তাহে একবার ক্যাশ ক্লিন করা ভালো। কারণ মনে রাখবেন, ফোন তত ফাস্ট হবে, যত তাতে বেশি ফাঁকা স্পেস থাকবে। তাই ফাঁকা স্পেস এর জন্য সপ্তাহান্তে ক্যাশ ক্লিনিং মোবাইলের জন্য স্বাস্থ্যকর অভ্যাস।

সোর্সঃ JH

আরো পড়ুনঃ

নতুন মোবাইল কেনার পূর্বে যে দিকগুলো লক্ষ্য রাখা উচিৎ

Leave A Comment