Study LightsStudy Lights

Blog Details

  • Home
  • Blog
  • Blog
  • কিভাবে ব্যর্থ লাইফে স্কিল বাড়াবেন…।?

কিভাবে ব্যর্থ লাইফে স্কিল বাড়াবেন…।?

 প্রথমেই বাস্তব একটা উদাহরণ দিয়ে শুরু নাম রহিম,  তিনি কম্পিউটার  টেকনোলজী এর উপর ডিপ্লোমা করেছেন ।  বিডি জবসের মাধ্যমে একটা আইটি  ফার্মে চাকরির পরীক্ষা/ইন্টারভিউ এর জন্য ডাক পেলেন, সময় অনুযায়ী পরীক্ষাও দিল।  কিন্তু ইন্টারভিউ বোর্ড তাকে বলেছিল আপনি যোগ্য but আপনার টাইপিং স্পিড ভালো না। হতাশ হয়ে ফিরে এসেছিলেন।
কিভাবে ব্যর্থ লাইফে স্কিল বাড়াবেন…।?
তাই  কম্পিউটারে কাজ করার জন্য টাইপিং স্পিড টা খুব খুব Important..
এবার আসি মূল টপিকস এ আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা কিনা প্রতিদিনই একবার করে ভাবি আমার আসলে কিছু একটা করার দরকার,বাবার কষ্টের ল্যাপটপ শুধু শুধু মুভি দেখে সময় নষ্ট করব না।কিন্তু যে কোন কারনে হয়ে উঠে না কারণ আপনার মাথায় আসেনা যে আমি কি কাজ দিয়ে শুরু করব। তাই এই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করব আসা করি ধৈর্য সহকারে লেখাটা পড়বেন।
কম্পিউটারে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে কাজ করে স্কিল বাড়ানো যায় যেমনঃ-

*হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার।
*ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট।
*গ্রাফিক্স ডিজাইন
*ভিডিও এডিটিং এবং এনিমেশন
*কনটেন্ট রাইটিং
*ডিজিটাল মার্কেটিং
*প্রোগ্রামিং
*ইমেইল মার্কেটিং

সহ রয়েছে অনেক ক্যাটাগরি যেখান থেকে যেকোন একটি কাজে আপনি স্কিল ডেভেলপ করতে পারবেন।এখন প্রশ্ন হলো আপনার জন্য কোনটি Perfect??
আচ্ছা, মনে পড়ে ছোট বেলায় যখন আমরা অক্ষর চিনতাম না,  মা বাবা বা ভাই বোন অথবা টিউশন মাষ্টার আমাদের কিভাবে পড়াতেন। প্রথমে বাংলা বা ইংরেজি বর্ন লেখাতেন। অ আ ই,  বা A B C. এর ভিতর অনেক বর্ন ই থাকত যেগুলো  আমরা সহজেই পারতাম। আবার কিছু বর্ন, যুক্তবর্ন ছিল লিখতে গিয়ে মার ও খেয়েছি। আর বার বার লিখে লিখে আস্তে আস্তে শিখেছি,  মানে মার ও খেয়েছি আবার অনেক সময় ও লেগেছে মোট কথা কষ্ট করেই শিখেছি।

তেমনি কম্পিউটারের যে কাজগুলোর কথা লিখেছি এর ভিতর কিছু কাজ আছে অল্প পরিশ্রমের আবার বেশি পরিশ্রমের, কোনটা কম সময় লাগে আবার কোনটার আবার বেশি।
এখন যদি আপনি ভালো টাইপিং জানেন, সাথে লেখালেখির অভ্যাস টা যদি থাকে, আপনি ভালো একজন কনটেন্ট রাইটার হতে পারেন।
যদি ডিজাইন ভালো লাগে আপনি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে পারেন।
যখন আপনার কোডিং ভালো লাগে একজন দক্ষ ওয়েবসাইট ডিজাইনার অথবা সফটওয়ার নিয়ে কাজ করতে পারেন।
এরকম ভাবে কম্পিউটারের প্রত্যেক ক্যাটাগরিনুজায়ী গুগল এ সার্চ  দিন।  প্রত্যেক বিষয়ে ধারনা নিন।যারা জানেন তাদের পরামর্শ নিন। সব বিষয়ে বেসিক ধারণা নেওয়ার পর নিজেকে প্রশ্ন করুন আসলেই আপনি কোনটার যোগ্য।। আপনি কোন বিষয়ে Interested।

দেখুন আপনি পৃথিবীতে একটা স্কিল সম্পূর্ণ মানুষ জিনিস কষ্ট ও কঠর পরিশ্রম  ছাড়া তাদের সুন্দর অবস্থানটা নিয়েছে। তাই পরার্মশ অনেকের কিন্তু সিদ্ধান্ত আপনার।আজ থেকেই লেগে পড়ুন আপনি আসলে কি চান? কোন স্কিল এ নিজেকে উজাড় করতে চান।

মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস কি কখনো ভেবেছিলেন যে তার নাম মানুষের মুখে মুখে থাকবে।
স্টিভ জবস কি আগে থেকে জানতেন যে Apple মানেই স্টিভ জবস।

না তারা এরকম ভাবেন নি। তারা শুধু ভেবেছিলেন তাদের স্কিলটা কতটা ডেভেলপ করা যায়, কঠিন সমস্যার মুখোমুখি হয়েও হাল ছাড়েন নি। অনেক কঠিন সময় পার করেছেন, তাদের অর্জিত স্কিল আজ সারাবিশ্বে বিস্তার করছে।তাই নিজেকে প্রশ্ন করুন, নিজের স্কিলকে সময় দিন।
বাংলাদেশে ১৭ কোটি মানুষ,  কোটি কোটি বেকার,  সবাই কিছু ন কিছু করার চেষ্টা করছে,আমরা  প্রতিযোগিতার  যুগে। তাই বসে না থেকে ঠিক কি করতে চান।
আপনিও হবেন দেশের ১০ জনের একজন,  হতে পারেন বিশ্বের ১০ জনের একজন।

আলোকিত পৃথিবীতে একজন আলোকিত মানুষ হতে
আপনার স্কিলকে ফুটিয়ে তুলুন সারাবিশ্বে। আশা করি Study Lights এর  লেখাগুলো আপনাদের ব্যাক্তিগত জিবনে সাফল্য অর্জনে কাজে দিবে।
কারিগরি শিক্ষার মান উন্নয়নে আমরা সদা প্রস্তুত থাকবো ইনশাআল্লাহ।

লেখা

Comments (2)

  • Bm

    October 6, 2019 - 8:04 am

    Thanks for share

  • Dj Biswas

    November 16, 2019 - 9:43 pm

    nice

Leave A Comment