আমরা যারা ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিয়ারিং শেষ করেছি তারা অনেক সময় নিজের নামের আগে ইঞ্জিনিয়ার লিখে বিপাকে পড়ি; মাঝে মাঝে ডিপ্লোমা এবং বিএসসি নিয়েও দ্বিধাদন্ধের মাঝে পড়ি ; অনেক সময় তো ডিপ্লোমার মান কিসের সমমান তা নিয়েও প্রশ্ন জাগে ;তার জন্য আপনি আমাদের সাইটে করা ডিপ্লোমার মান নিয়ে পূর্বের পোস্টটি পড়বেন যার লিংক ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মান আসলেই কিসের সমমান
আজকে আমরা যে বিষয়ে আলোকপাত করবো তা হলো ইঞ্জিনিয়ার কাকে বলে, ডিপ্লোমা এবং বিএসসির মাঝে মূল পার্থক্য;
ইঞ্জিনিয়ার কাকে বলে ;
ইঞ্জিনিয়ার শব্দের বাংলা হচ্ছে প্রকৌশলী;যে প্রকৌশলবিদ্যাতে পারদর্শী তাকে মূলত প্রকৌশলী বা ইঞ্জিনিয়ার বলা হয়; তার জন্য অবশ্যই গ্রাজুয়েট পাশ করতে হবে;
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার বনাম বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার;
যারা ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং নামক একটি কোর্স সম্পন্ন করে তাদের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার বলা হয় আর যারা বিএসসি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স সম্পন্ন করে তাদের বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার বলা হয়।
ডিপ্লোমা এবং বিএসসি মধ্যে তুলনামূলকভাবে অনেক পার্থক্য রয়েছে ; যেমন বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ বিএসসি ডিগ্রী প্রদান করে; অপরদিকে বিভিন্ন ইনস্টিটিউট ডিপ্লোমা ডিগ্রী প্রদান করে; ডিপ্লোমার ক্ষেত্রে তাদের ডিপার্টমেন্ট গুলোকে বিভিন্ন টেকনোলজিতে ভাগ করা হয় যেমন ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজি, সিভিল টেকনোলজি,কম্পিউটার টেকনোলজি ইত্যাদি;অন্যদিকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট গুলোকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি বলা হয়; ডিপ্লোমা মূলত বিএসসি এর শর্ট ফরম; ডিপ্লোমা থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এর সিলেবাস টা অনেক বর্ধিত এবং ব্যাপক;
বিভিন্ন দেশের ভিত্তিতে এবং কোর্সের ওপর নির্ভর করে ডিপ্লোমা ১,২,৩,৪ বছর মেয়াদী হয়ে থাকে;যেমন বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এর ক্ষেত্রে চার বছর মেয়াদি কোর্স করানো হয়;অপরদিকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং বা ব্যাচেলর হচ্ছে ৪,৫ বছরের কোর্স;বাংলাদেশে বিএসসি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ইংলিশ মাধ্যমে পড়ানো হয় অপরদিকে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানো হয় বাংলা মাধ্যমে;
মাধ্যমিক পাশ করার পর ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি হওয়া যায় অপরদিকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তি হতে আপনাকে উচ্চ মাধ্যমিক বা ডিপ্লোমা পাস করতে হবে;
এখানে একটি মজার ব্যাপার হচ্ছে আপনি বিজ্ঞান বিভাগে না পড়ে ও ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তি হতে পারেন।কিন্তু বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে আপনাকে অবশ্যই বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পড়ে আসতে হবে।
আশা করি মূল পার্থক্য বুঝতে পেরেছেন;
সোর্সঃ http://Google.com