Study LightsStudy Lights

Blog Details

  • Home
  • Blog
  • Blog
  • করোনা ভাইরাসের অপারেশন;আতঙ্কিত না হয়ে সত্য জানুন

করোনা ভাইরাসের অপারেশন;আতঙ্কিত না হয়ে সত্য জানুন

“করোনা” এই মুহুর্তে সম্ভবত পৃথীবির সবচেয়ে আলোচিত নাম; ক্রমে ক্রমে সারাবিশ্ব জুড়ে মানুষ আজ করোনা আতঙ্কে আতঙ্কিত; ঠিক এই মুহুর্তে মাস্ক,হেক্সাসল বাজারের সবচেয়ে দামি পন্য পরিণত হয়েছে; কিন্তু করোনার জন্য এগুলো কি খুব বেশি গুরুত্ব পূর্ণ ;আজকে আমরা করোনা ভাইরাসকে অপারেশন করবো আসলে সেটা কি কেন হচ্ছে হলে কি করবো ;

করোনা ভাইরাস আসলে ঠিক কি?

 

“করোনা ভাইরাস”(Novel Corona বা 2019-nCoV) এর নাম অনেকের কাছে এ বছর নতুন শোনা  গেলেও ; এই ভাইরাসের চরিত্র সম্বন্ধে বিজ্ঞানীরা ১৯৬০ এর দশক থেকেই কিছুটা জানতেন; এর যে মূল লক্ষণগুলি রয়েছে তাতে একে অনেকটা SARS বা “Severe Acute Respiratory Syndrome”এর মত মনে হয়;যদিও SARS ও এই ভাইরাসের ফলে সৃষ্ট “ফ্লু লাইক সিমটমস” এক জিনিস নয়।

 

আবার এর লক্ষণগুলি সম্পূর্ণ নিউমোনিয়ার মতোও নয়;তাছাড়াও অতি দ্রুত এই ভাইরাসের “ইনকিউবেশন পিরিয়ড”(শরীরে ভাইরাস প্রবেশ করার পর ভালোভাবে জাঁকিয়ে বসে শরীরে রোগ সৃষ্টি করা পর্যন্ত সময়); হওয়ায় বহু মানুষের মৃত্যু ও তার বিরুদ্ধে তেমন কোনো প্রতিষেধক কার্যকরী না হওয়া প্রভৃতি কারণেই বিজ্ঞানীদের মধ্যে এই ভাইরাসের চরিত্র ও শরীরে ছড়িয়ে পরার ধরণ নিয়ে একটি দ্বিধা বা দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে।

 

হটাৎ এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এত বাড়লো কি করে?

 

আসলে এমন নয় যে, শুধুমাত্র এই ভাইরাসের ফলেই বিশ্বে বেশিরভাগ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে বা ভবিষ্যতে হবে;একটু খোঁজ খবর নিয়ে দেখলে দেখা যাবে, শুধুমাত্র পেটের রোগে ই এর থেকে বহু মানুষ সারা বিশ্বে মারা যান; কিন্তু এ নিয়ে তেমন কিন্তু কোন প্রচার বা বিজ্ঞানীদের তেমন মাথাব্যথা দেখা যায়না;কিছুদিন আগে মুরগী খেলে শরীরে অমুক ভাইরাস (সালমোনেলা)বা বাদুরে খাওয়া ফল খেলে তমুক ভাইরাস(ইবোলা) শরীরে ছড়িয়ে পড়া নিয়ে বিশাল প্রচার শুরু হয়েছিল; কিন্তু এগুলো এখন আর তেমন শুনতে পান; এগুলি যে কেন করা হয় সেটা পাঠকরা নিশ্চয়ই কিছুটা আন্দাজ করতে পারেন;

 

আমি কিন্তু বলছি না যে এগুলি বেশি বেশি করে খান; আসলে একটি ভাইরাসে আক্রান্ত হবার ফলে কেন একজন মানুষের মৃত্যু হচ্ছে ;কিন্তু তার পাশে থাকা অন্য একজনের কেন হচ্ছে না সেটা ভালোভাবে যাচাই না করেই কোন একটি নির্দিষ্ট ভাইরাসকে ধরে আমরা চিকিৎসা শুরু করছি;বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোন প্রতিষেধকের কার্যহীন হওয়ার এটি একটি বড় কারণ; এবার কেউ বলতেই পারেন, চিনে যে এত মানুষের মৃত্যু হল সেগুলো কি সব ফালতু?

 

না, এগুলো ফালতু নয় ঠিকই;এই নিয়ে “বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা”(WHO) ও চীনের সরকার হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করছেন; আশা করা যায় এ সম্পর্কিত কোন “গাইড লাইন”, এই রোগের কারণ, নিশ্চয়ই সামনে আসবে; কিন্তু বহু ক্ষেত্রে আসল কারণগুলি কে লুকিয়ে ফেলা হয়; আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে এরকম বহু উদাহরণ আছে; তাই আসল সত্য মানুষের সামনে উঠে আসা উচিত;আসলে আবহাওয়ার পরিবর্তন ( ওয়েদার চেঞ্জ) এর সময় যেকোনো জীবাণু বা ভাইরাস এর প্রভাব অত্যন্ত বেশি থাকে;আর এই কারণেই আমরা আবহাওয়ার পরিবর্তনের সময় বিভিন্ন অসুখে ভুগতে থাকি;সেটাও একটি কারণ কিনা সেটা হয়ত সময়ই বলবে;

 

এবার আসি করোনা ভাইরাসের লক্ষন নিয়ে-

 

১) জ্বর,সর্দি কাশি

 

২) নাক দিয়ে পানি পড়া

 

৩) কফ, গলায় ইনফেকশন

 

৪) শরীরে, মাথায়, বিভিন্ন জয়েন্ট ও মাসল এ জন্য ব্যথা।

 

এই গুলো যদি সঠিক ট্রিটমেন্ট না করানো হয় তাহলে তা অনেক জটিল আকার ধারণ করতে পারে;ফুসফুসে কফ জমে জমে মিউকাস সৃষ্টি হতে পারে বা ফুসফুসে পাস (পুঁজ) জমে যেতে পারে;এর ফলে রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাস অনিয়মিত হয়ে যেতে পারে;যদি আরো খারাপ কন্ডিশন হয় তাহলে তা ARDS বা Acute Respiratory Distress Syndrome এ পরিনত হতে পারে;এ ক্ষেত্রে ফুসফুস তার স্বাভাবিক কার্য সম্পাদন করা বন্ধ করে দেয়;ফুসফুসে পানি জমে যায়;অনেক ক্ষেত্রে সেপটিসেমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে রোগীর প্রাণ অবধি যেতে পারে;

 

চিকিৎসা পদ্ধতি:

 

এ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতি:

করোনা ভাইরাসের ফলে “ফ্লু” র মত সিমটমগুলিকে দূর করার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে নির্দিষ্ট কিছু “গাইডলাইন” এসেছে কিনা আমি ঠিক জানিনা;এ ব্যাপারে কেউ সঠিক তথ্য দিয়ে অবগত করাতে পারলে খুব খুশি হব। তবে সাধারণ অ্যান্টিবায়োটিক ট্রিটমেন্ট দিয়ে এই ধরনের “ভাইরাল ইনফেকশন” র চিকিৎসা হয়তো খুব বেশি কার্যকরী হবে না;তবে প্রয়োজন পড়লে, “নাই মামার থেকে কানা মামা ভাল”র মত “ফ্লু” বা জ্বরের যেমন ট্রিটমেন্ট করা হয় সেরকমই চিকিৎসা করাতে হবে;এ ব্যাপারে নিজে থেকে কোন ঔষধ না খেয়ে একজন চিকিৎসকের সঙ্গে আগে কথা বলা উচিত;

 

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতি:

আমার জানা একজন হোমিওপ্যাথ চিকিৎসকের মতে এই ধরনের ভাইরাসের চিকিৎসার নাকি খুব ভালো কিছু হোমিওপ্যাথি ওষুধ আছে;তার মধ্যে প্রধান হল- Aconite Napellus-30CH;লিকুইড ফর্মে এই ওষুধকে প্রতি আধা ঘন্টা অন্তর অন্তর ২ ফোঁটা করে খেতে হবে; এই ঔষুধটির নাম আমি লেখার সাহস পেলাম তার কাছ থেকেই। কারণ এই ঔষধটি সম্পূর্ণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াবিহীন;তবে বিধিবদ্ধ সর্তকতা হিসেবে আমি কাওকে প্রথমে একজন হোমিও চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেবো যারা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার উপর ভরসা করে থাকেন;

 

ন্যাচারালপ্যাথি বা প্রাকৃতিক চিকিৎসা পদ্ধতি:

প্রাকৃতিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট কিছু প্রাকৃতিক শাকসবজি- ফল কে খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করে (Food as Medicine) যে কোন ভাইরাসকে ভেতর থেকে নির্মূল করার চেষ্টা করা হয়;এর মধ্যে প্রধান হলো: লিকুইড ডায়েট। আপনার যা দৈহিক ওজন তার দশ শতাংশ যে কোন টক জাতীয় ফলের জুস খেতে হবে অর্থাৎ কোন মানুষের ওজন যদি 70 কেজি ওজন হয়, তাহলে এই অবস্থায় তাকে অন্ততপক্ষে 700 গ্রাম এর মত ফলের জুস ও সবজি খেতে হবে।এই টক জাতীয় ফলের মধ্যে মুসাম্বি, আনারস, আমলা, কমলা হতে পারে; এই জুসের মধ্যে কিন্তু ফলের ফাইবার ও থাকবে;শুধু তরল জুস খেলে হবে না;

 

যতদিন ফ্লু এর সিমটমগুলি থাকবে ততদিন সাধারণ পানি না খেয়ে নারকেলের পানি খান;এটি একটি প্রাকৃতিক ও. আর. এস ( O.R.S) র কাজ করে;তাছাড়া ফল-সবজি ভিত্তিক ডায়েট নিন, ভাত রুটি নাম মাত্র;এক্ষেত্রেও প্রয়োজনে একজন ন্যাচারোপ্যাথ র সঙ্গে কথা বলে নিতে পারলে ভালো হবে বলে মনে হয়;

 

কি কি সতর্কতার প্রয়োজন

 

১) হাঁচি,কাশি বা থুতুর সঙ্গে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই কাশি বা হাঁচির সময় কোন পরিষ্কার রুমাল বা কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে তবেই কাশবেন বা হাঁচবেন।

 

২) খাবার আগে হাত ধোয়া খুব জরুরী। খাবার কখনোই মুখ খোলা অবস্থায় রাখবেন না। কোন পাত্র দিয়ে ঢেকে রাখুন। পাত্র থেকে খাবার নেওয়ার সময় হাতের বদলে চামচ ব্যবহার করুন।

 

৩) চিনে এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়লেও বিশ্বের অন্যান্য দেশে এর প্রভাব খুব একটা বেশি না। ভারতের কেরালায় এই ধরনের একটি কেস ধরা পড়েছে। তাই এখনি মাস্ক বা মুখোশ পড়ে রাস্তায় বেরোনোর তেমন কোনো প্রয়োজন নেই।

 

৪) করোনা ভাইরাস নিয়ে যে আতঙ্ক সোশ্যাল মিডিয়া ও অন্যান্য নিউজ মাধ্যমগুলোতে চলছে, ব্যাপারটা কিন্তু ততটা এপিডেমিক এখনো হয়নি। তাই অযথা আতঙ্কিত হবেন না। আতঙ্ক ছড়াবেন ও না ।

 

৫) এই কয়েকদিনে যদি কারো জ্বর বা সর্দি কাশি, নাক দিয়ে জল পড়া প্রভৃতি লক্ষণ দেখা যায় তাহলে দেরি না করে একজন চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন।এই অবস্থায় বাড়ির বাচ্চাদের থেকে একটু দূরে থাকুন।

 

যেকোনো নতুন ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এর সঙ্গে সঙ্গে এর চরিত্র এবং উপযুক্ত প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে কিছুটা সময় তো লাগেই; তবে যাতে একজন মানুষের শরীরে এই ভাইরাস বাসা বাঁধতে না পারে তার জন্য আগে থেকেই কিছুটা সতর্ক হওয়া উচিত। যাদের ঠান্ডা লাগার ধাত আছে, তারা অযথা ঠাণ্ডা লাগাবেন না। শাকসবজি ও ফলমূল মিশ্রিত খাবার খান। উপযুক্ত পরিমাণে পরিষ্কার জল পান করুন। তাহলেই দেখবেন “করোনা” কেন, অন্য কোন ভাইরাস ই আপনাকে কাবু করতে পারছে না। ধন্যবাদ।

সুত্রঃ গুগল , Wikipedia ,Jh

আরো পড়ুনঃস্টিফেন হকিং এর এই ১০ উক্তি ফিরিয়ে দিবে আপনার জীবনীশক্তি!

Leave A Comment