Study LightsStudy Lights

Blog Details

  • Home
  • Blog
  • Blog
  • অনলাইনে কেনাকাটার ক্ষেত্রে যেগুলো লক্ষ্য রাখবেন!

অনলাইনে কেনাকাটার ক্ষেত্রে যেগুলো লক্ষ্য রাখবেন!

বর্তমান ২০২০ কে আছে যে অনলাইনে পছন্দের জিনিস অর্ডার করি না; তথ্য প্রযুক্তির এই ডিজিটাল দুনিয়ায় সব যেন পানির মত সোজা বেড রুমে বসে বসুন্ধরার ফিলিংস আহ;কিন্তু ডিজিটালের এই মারপ্যাচে কতজন আইফোন কিনে পিঁয়াজ নিয়ে পেয়ে ভাজি করে খেতে হয়েছে ; এই ঘটনা যেন এখনকার নিত্যপ্রয়োজনীয় তবে আজকে আপনাদের সাথে কিছু কথা শেয়ার করবো; যেগুলো লক্ষ্য রাখলে তথ্যপ্রযুক্তির এই মারপ্যাচ থেকে কিছুটা রক্ষা পাবেন চলুন তাহলে; অনলাইনে কেনাকাটার জন্য যেমন আমদের জীবনযাত্রা সহজ হয়ে গিয়েছে ঠিক অনলাইনে কেনাকাটার সময় একটু অসাবধানতার জন্য হুমকি নিয়ে আসে;

প্রথমেই দেখে নিতে হবে

১। যে সাইট থেকে কেনাকাটা করবেন, সে সাইটটি নিরাপদ কী না ? সেটা নিশ্চিত হওয়ার জন্য, ওয়েব পেজে অ্যাড্রেস বার (address bar) এর কোণায় একটি ছোট তালা (lock) র চিহ্ন থাকবে ;(একে বলা হয় SSL-Secure Sockets Layer) এবং URL address টি https:// দিয়ে শুরু হবে ।

সাইটটিতে লগ ইন করার জন্য

২।  নিজের একটি user ID এবং Password করে নেয়া ভালো; user ID ছাড়াও guest user হিসেবে, কেনাকাটা করা যেতে পারে, তবে user ID create করে নিয়ে, নিজের প্রোফাইলে;কেনা পণ্যটি পাঠানোর ঠিকানা রেকর্ড করে নিলে, বারবার কেনাকাটা করার ক্ষেত্রে, সেই ঠিকানা বারবার টাইপ করতে হবে না; তবে, user profile এ, পেমেণ্ট সংক্রান্ত তথ্যাদি রেকর্ড না করাই ভালো;

রিভিউ

৩। সাইটটিতে সংশ্লিষ্ট বিক্রেতার রেটিং বা রিভিউ দেখে নেয়া দরকার ; সাধারণত অধিকসংখ্যক রেটিং এর ক্ষেত্রে যদি দেখা যায় ওভারঅল রেটিং পাঁচ এর মধ্যে চার বা ততোধিক আছে;সেক্ষেত্রে, ধরে নেয়া যেতে পারে যে, পণ্যটি গুণগত মানে নিকৃষ্ট নয়;

তবে যদি, রেটিং এর ক্ষেত্রে মোট গ্রাহকের সংখ্যা খুবই কম থাকে ; যেমন সাতজনের মধ্যে চার জন five star;দুজন four star, এক জন three star ;রেটিং দিয়েছেন, সেক্ষেত্রে পণ্যটি ভালো হতে পারে;আবার খারাপ ও হতে পারে;কারণ, অনেকসময় পণ্যটি বিক্রীর উদ্দেশ্যে; arranged rating (যেটা প্রকৃত নয়) হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না; আবার খুব কম সংখ্যক গ্রাহকের মতামতকে ও নির্ভরযোগ্য বলে মনে হয় না।

শর্তাবলী

৪। এবার দেখতে হবে, যে পণ্যটি কেনা হচ্ছে, সে সম্পর্কে বিক্রেতার শর্তাবলী। সেখানে দেখা প্রযোজন;

ক) কতদিনের ওয়ারান্টি আছে( যেসব ক্ষেত্রে ওয়ারান্টি প্রযোজ্য হয় );

খ) বিক্রয়োত্তর পরিষেবার কী সুবিধা আছে, অন-স্পট অর্থাত্‍ যে ডেলিভারী অ্যাড্রেসে পণ্যটি পাঠানো হয়েছিলো,;সেখানে কোম্পানী থেকে লোক এসে দেখবেন না সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে যেতে হবে;

গ) পণ্যটির কোনোরূপ ত্রুটি লক্ষ্য করা গেলে, সেটি ফেরত্‍যোগ্য বা বদলযোগ্য কী না;

ঘ) ডেলিভারী টাইম কতোদিন বলা হচ্ছে;

এসব দেখে শুনে, নিজের সন্তুষ্টি এলে, পণ্যটি কেনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে। তবে, একটু দামী জিনিষপত্র কেনাকাটার ক্ষেত্রে এসব দিকগুলো একটু মনোযোগ দিয়ে দেখা প্রয়োজন।

বিক্রেতার রেটিং দেখা প্রযোজন এ কারণে, যাঁরা প্রতিষ্ঠিত বিক্রেতা, তাঁরা পণ্যের গুণগতমান, বিক্রয়োত্তর পরিষেবা, দ্রুত ডেলিভারী, সর্বোপরি গ্রাহক পরিষেবার দিকটি খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখেন এবং আপ্রাণ চেষ্টা করেন যাতে কোনো নেতিবাচক রেটিং দেয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরী না হয়।

সুতরাং, সেলার রেটিং এবং কাস্টমার রিভিউ বিশ্লেষণাত্মক দৃষ্টিতে দেখে নেয়া একান্ত প্রযোজন।

পেমেণ্ট

৫। পেমেণ্ট যদি ক্যাশ-অন-ডেলিভারী মোডে হয়, তাহলে পেমেণ্টের ক্ষেত্রে, বিশেষ কিছু সতর্কতার প্রশ্ন আসছে না। যদি অনলাইনে প্রি-পেমেণ্ট করা হয় তাহলে;

ক্রেডিট কার্ড

ক) ক্রেডিট কার্ডে পেমেণ্ট করা বাঞ্ছনীয়। কারণ, সেক্ষেত্রে সাথে সাথেই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে না এবং নিজের কোনোরূপ অসতর্কতা ব্যতীত যদি পেমেণ্টের ক্ষেত্রে জালিয়াতির মতো ঘটনা (fraud) ঘটেই যায়, সেক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ড কোম্পানীকে নির্দিষ্ট সময়ে (বাহাত্তর ঘন্টার মধ্যে) জানিয়ে দিলে, তাঁরা আর্থিক ক্ষতির পূর্ণ বা আংশিক দায় বহন করেন।

এসব ক্ষেত্রে রিজার্ভ ব্যাংক এর guideline অনুযায়ী, ঘটনা ঘটে যাওয়ার তিন দিনের মধ্যে ব্যাঙ্ককে জানালে, ঘটনাপ্রবাহ বিবেচনায়, ব্যাঙ্ক গ্রাহকের ক্ষেত্রে ZERO বা Limited liability fix করেন। এটিএম কার্ড বা অনলাইন ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রেও, এরকমই নির্দেশ। কিনতু, সেক্ষেত্রে টাকাটা সাথে সাথেই অ্যাকাউন্ট থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে, কিনতু, ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রে সেটা হচ্ছে না।

অনলাইন ব্যাংকিং

খ) যদি, কার্ডে পেমেণ্ট না করে, অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে করতে হয়, সেক্ষেত্রে, অনলাইন ব্যাংকিং কে পেমেণ্ট স্ক্রীনে না এনে, আলাদা স্ক্রীনে, অনলাইন ব্যাংকিংয়ে লগ ইন করে, ঠিক যতো টাকা পেমেণ্ট করতে হবে, ঠিক তত টাকার virtual card তাত্ক্ষনিক ভাবে বানিয়ে, সেই কার্ডের তথ্যাদি দিয়ে পেমেণ্ট করা যায়। (যদি পেমেণ্ট গেটওয়েতে virtual কার্ডে পেমেণ্ট করার অপশন থাকে); virtual কার্ডে, অরিজিন্যাল কার্ডের কোনো তথ্যই প্রতিফলিত হবে না, কার্ডের নাম্বার, expiry date, cvv number, সবকিছুই আলাদা থাকে এবং এই virtual কার্ডের কার্যকারিতা একটা নির্দিষ্ট সময় অবধি থাকে। ওই সময়ের মধ্যে virtual card ব্যবহার না করলে, ওই virtual কার্ডের সমপরিমান টাকা, নিজে নিজেই আবার অ্যাকাউন্টে চলে যাবে।

এতে অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা অনেকটাই সুরক্ষিত থাকে।

আর অনলাইনে যদি বিদেশী সাইটে কার্ডে কেনাকাটা করা হয়, তাহলে খুবই সতর্কতা প্রযোজন। কারণ, কার্ডে international transaction এর ক্ষেত্রে, second tier security হিসেবে, নিজের মোবাইলে otp আসার প্রয়োজন হয় না। কার্ডের তথ্যাদি দিলে, টাকা সরাসরি বেরিয়ে যাবে।

গ) অনলাইনে কেনাকাটা করতে অনেকসময়ই কার্ডের তথ্যাদি (CVV নাম্বার বাদে) সেভ করে রাখার অপশন আসে। বলা হয় যে, পরবর্তী সময়ে quick payment করতে সুবিধে হবে। বিশ্বস্থ সাইট হলে, সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে, সেভ করার অপশনটিও চাইলে, এড়িয়ে যাওয়া যেতে পারে।

অনলাইনে কেনাকাটার সময় প্রাথমিকভাবে এসব সতর্কতা অবলম্বন করলে অনলাইন আপনার জন্য কিছুটা সস্তিকর হবে;

সোর্সঃ জেইচ

আরো পড়ুনঃ আপনি জানেন কি তাজমহল উধাও হয়েছিল কেন?

Leave A Comment