Study LightsStudy Lights

Blog Details

  • Home
  • Blog
  • Blog
  • কভার-লেটার আকর্ষণীয় করব কিভাবে? লেখার নিয়ম কি?

কভার-লেটার আকর্ষণীয় করব কিভাবে? লেখার নিয়ম কি?

সিভিকে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য একটি কভার লেটার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বলা যেতে পারে কভার লেটার ই এক প্রকার চাকরির অ্যাপ্লিকেশন। কিন্তু আমরা অনেকেই আছি যে এটি লেখার নিয়ম সম্পর্কে অবগত নয় কিন্তু চাকরির ক্ষেত্রে ভুল-ত্রুটিহীন আকর্ষণীয় একটি কভার লেটার নিয়োগকারীদের কাছে অনেকের মধ্য থেকে আপনার  জন্য আলাদা করে তুলতে পারে।

 

আসুন আমরা এবার জেনে নেয়  কভার লেটার কি এবং কেন প্রয়োজন ঃ

কভার লেটার হচ্ছে আপনার সিভির সংক্ষিপ্ত একটা ধারণা, প্রতিষ্ঠান চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে আপনার যোগ্যতা কথাগুলো আকর্ষণীয় ভাবে উল্লেখ করবেন। কভার লেটার এমন ভাব ভঙ্গিতে লেখা উচিত যাতে নিয়োগকারীরা আপনার ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে ওঠেন এটি হচ্ছে কভার লেটার এর মূল উদ্দেশ্য ;

সাধারণত সব প্রতিষ্ঠানে আপনার কাছে কভার লেটার চাইবে না তবে যে প্রতিষ্ঠানগুলো আপনার কাছে কভার লেটার চেয়ে থাকেন তাদেরকেই এগুলো পাঠানো হয়ে থাকে ;

 

কভার লেটারের ফরমেট কেমন হবে ঃ

 

প্রধানত পাঁচটি অংশে বিভক্ত,

 

1. হেডার ঃ  এখানে থাকবে কোম্পানির নাম, পূর্ণ ঠিকানা এবং তারিখ।

2. সম্মোধন ঃ  সম্মোধন অংশে যার বরাবর কভার লেটারটি লেখা হচ্ছে তাকে সম্বোধন করা হয় এই অংশে।
সেটি সাধারণত হয়ে থাকে এইচআর ম্যানেজার।

এরপর শুরু হয় প্যারাগ্রাফ প্যারাগ্রাফ। প্যারাগ্রাফ এর অংশ সাধারণত তিনটি অংশে বিভক্ত

৩. সূচনা ঃ  সূচনাঅংশের সাধারণত কোথা থেকে আপনি সন্ধান পেলেন, এখানে কোন পদের জন্য আবেদন করছেন ; কেন এই পদের জন্য আপনি আগ্রহী এই বিষয়টি তুলে ধরতে হয়।

৪. মূল অংশঃ  এই অংশে আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার বিবরণ, দক্ষতা ও জ্ঞান কিভাবে আপনার আবেদনকৃত পদটিতে দায়িত্ব পালনে সাহায্য করবে এবং এখন পর্যন্ত এই গুণগুলো আপনাকে কি কি কাজে সাফল্য অর্জনে সাহায্য করেছে ; এগুলো প্রয়োজনে বুলেট পয়েন্টে লিখুন। এই ধাপে দুই থেকে তিনটি প্যারাতে হতে পারে।

৫. শেষ অংশঃ  এ অংশে কিভাবে আপনার সাথে যোগাযোগ করা যাবে সেই তথ্য দিন এবং পরিষ্কারভাবে ইন্টারভিউ এর ব্যাপারে আপনার আগ্রহের কথা এখানে উল্লেখ করুন।

 

যেভাবে আপনি লিখবেন ঃ

 

১. ইংরেজিতে লিখুন –  সাধারণত কভার লেটার গুলো ইংরেজিতে কি হয়।

২. প্রতিটি চাকরির জন্য আলাদা করে কভার লেটার তৈরি করা- যে প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছেন সেই প্রতিষ্ঠান এবং পদ অনুযায়ী কভার লেটার তৈরি করা, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের জন্য কভার লেটার আপনার যোগ্যতাকে প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যের সাথে মিল রেখে গুছিয়ে লিখতে হবে।

৩. টেমপ্লেট এর ব্যবহার ঃ  ইন্টারনেটের এই সময়ে অনলাইনে অনেক অনেক কভার লেটারের টেমপ্লেট পাওয়া যায়, তাই প্রত্যেকটা কভার লেটার আলাদা করার জন্য আলাদা আলাদা টেমপ্লেট ব্যবহার করে কভার লেটার তৈরি করতে পারেন এতে আপনার ক্রিয়েটিভিটি বাড়বে।

৪. ভাষা লিখন’ সহজ ও প্রাঞ্জল ঃ   শব্দ হবে সহজ এবং প্রাঞ্জল যাতে করে বুঝতে অসুবিধা না হয়।

৫. সুস্পষ্ট সম্মোধন-  বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানেই এইচআর ম্যানেজার বরাবর কভার লেটার পাঠাতে হয় ; প্রধান বা নিয়োগকর্তাকে জানা থাকলে ভালো হয়, জানা না থাকলে এইচআর ম্যানেজার বরাবর লেখাটাই লেখাটাই শ্রেয়।
৬. শুরুর বাক্যটি আকর্ষণীয় করে লেখা, যিনি কভার লেটারটি পড়বেন যাতে করে তিনি আকর্ষণীয় হন।

৭. দৃঢ়তা প্রকাশ করুন-  এমনভাবে লিখো যেন আপনার যোগ্যতা দিয়ে আপনি তার প্রতিষ্ঠান লক্ষ্য পূরণে আগ্রহী এবং সুযোগ পেলে খুশি হবেন। এমন যেন না হয় যাতে করে আপনি আকুতি মিনতি করছেন।

৮. রি-চেক করুন –  বিশেষ করে বানান বা ব্যাকরণ ঘটিত কোন ভুল নেই তা নিশ্চিত করুন প্রয়োজনবোধে পরিবারের সদস্য বা বন্ধুদের দিয়ে চেক করিয়ে নিতে পারেন বারবার চেক করুন যাতে করে ভুল না থাকে।

৯. সংক্ষিপ্ত আকারে গুছিয়ে লিখুন- মূল স্কিল গুলো লিখুন যা তাদের প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য পূরণে সহায়তা করে এবং তাদের অনেক বেশি আকর্ষণীয় করে তুলবে; মনে রাখবেন তা যেন দীর্ঘ না হয় যাতে করে অনেক সময় লেগে না যায়, তাদের পড়তে 10 থেকে 15 সেকেন্ডে পড়ে নিতে পারবেন এমন হলেই সব থেকে ভালো।

১০. স্কিলগুলো কাজ করুন-  আপনার দক্ষতা এবং কাজের অভিজ্ঞতাগুলো প্রকাশ করুন এডুকেশনাল কোয়ালিফিকেশন এর থেকে আপনার যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতার প্রতি বেশি আগ্রহী হবেন নিয়োগকারীরা।

সর্বশেষে আপনার কাছে সামান্য অনুরোধ যদি আপনার ক্যারিয়ার জীবনে পোষ্টটি এতোটুকু পরিমাণ সহযোগিতা করে থাকে অবশ্যই পোষ্টটিতে লাইক করুন এবং পরিচিত বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন, ধন্যবাদ

আরো পড়ুন ঃ

পড়াশোনায় মনোযোগী হবার ৬ বৈজ্ঞানিক কৌশল

Leave A Comment