Study LightsStudy Lights

Blog Details

  • Home
  • Blog
  • Blog
  • পড়াশোনায় মনোযোগী হবার ৬ বৈজ্ঞানিক কৌশল

পড়াশোনায় মনোযোগী হবার ৬ বৈজ্ঞানিক কৌশল

ফেসবুকে সারাদিন পরে থাকলে কিংবা মোবাইল বা ল্যাপটপে ভিডিও গেম খেলার সময় মনোযোগে কোন বিচ্যুতি হয় না কিন্তু পড়তে বসলেই মনোযোগ যেন জানালার ফাঁক খুঁজে পালিয়ে যায়
কিন্তু কেন??
আমাদের সকলেরই সমস্যাই একই জায়গাতে পড়তে বসলেই যত ধরনের চিন্তা আর নানান অজুহাতে অজানা ভূত এসে চাপে মনোযোগ যেন ঠিক আলাদিনের চেরাগের দৈত্যর মতো কোথায় গায়েব হয়ে যায় কে জানে…?
পড়ায় মনোযোগ থাকলে যা একবার পড়লেই হয় মনোযোগ না থাকলে সারাদিন পড়লেও কোন লাভ হয় না.।
এই সমস্যার প্রধান উপসর্গ হলো পড়তে যেন ভালোই লাগে না কিন্তু তবুও যে পড়তেই হবে ভালো কিছু যে করতেই হবে…।নামের পাশে এ+ থাকতেই হবে সেটা তো চাই কিন্তু মনোযোগ??????

এখন ৬ টি বৈজ্ঞানিক টেকনিক শেয়ার করবো এই বিষয়গুলো অনুসরন করলে আপনার ইচ্ছা আর যাই হোক ইলশে গুড়ি হবে না  ।।
তার আগে এটা তো বলি আপনার পড়ার টেবিলটাকে বিরক্তি কেন লাগে ? আর কেনই বা মন বসে না পড়ার টেবিলে?
আপনার ভালো না লাগার প্রধান কারন হিসাবে গবেষকরা খুঁজে পেয়েছেন অস্থিরতাকে সবার আগে আপনি স্থির হোন এবার নিজেকে আপনি প্রশ্ন করুন কেন আপনি পড়তে পারছেন না। আপনার দা কুমড়া সম্পর্কের সহপাঠীরা ঠিক এই মুহূর্তে পড়ছে তবে আপনি কেন নয় আর কে ই বা চাইবে বলেন নিজের ক্ষতি করতে ।
তাহলে চলুন আমরা আপনার পড়ার টেবিলে মনোযোগী হবার উপায়গুলো সম্পর্কে আলোচনা করে নেই……।।

বিশ্লেষন ০১ঃ-পড়ার সময়
ঠিক সেই সময়টাতে পড়তে বসবেন যখন আপনার সবচেয়ে বেশি মনোযোগ থকবে,আপনি কি নিজে নিজেকে বলেন না আমার তো পড়া লাগবে ??হ্যাঁ বলেন কিন্তু ! আবার একটানা অনেকক্ষণ পড়লেও মনোযোগ ধীরে ধীরে হ্রাস পায় আপনি অবশ্যই জানেন পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ আলাদা বৈচিত্রের এবং একই সাথে ভিন্ন মস্তিষ্কের আপনার যদি দুপুর ১১টা -১২টার মধ্য পড়া ভালো হয় বা পড়তে ভালো লাগে তাহলে আপনি ঠিক ওই সময়টাই কাজে লাগান ঠিক তখনই পড়তে বসবেন অল্প সময় পড়ে অধিক কিছু আয়ত্তে আনতে কে না চাই বলুন আর আপনিই বা কেন সে সুযোগ ছেড়ে দিবেন। আপনার যখন একদমই পড়তে মনে চাই না বা মন বসে না ঠিক তখন কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে পড়তে থাকুন কারন দাঁড়িয়ে পড়লে মনে রাখা সহজ হয় ইউনিভার্সটি অফ টেক্সাসের একটি গবেষনার প্রতিবেদন থেকে জানা যায় ৩০০ জন ব্যক্তির মধ্য যারা দাঁড়িয়ে পড়েছিল তাদের মনোযোগ যারা বসে পড়েছিল তাদের থেকে অনেক বেশি। তাছাড়া গ্রুপ স্ট্যাডি কিংবা বন্ধুদের সাথে পড়াশোনা নিয়ে আলোচনা করলেও পড়া বেশি মনে থাকে।
বিশ্লেষন ০২ঃ- ব্রেনের বিশ্রাম
আপনি হয়ত পড়াশোনার মাঝের বিরতিতে ফেসবুক পাড়াতে চলে যান বা গেম খেলেন তা কিন্তু আদৌ সেটা বিশ্রাম হয় না বরং আরো বেশি ব্রেনে চাপ পড়ে । আপনি তার থেকে বিরতির মাঝে কর্মক্ষমতা বাড়ায় সেরকম পছন্দের একটা মিস্টার ম্যাংগো কিংবা যে কোন চকলেট মুখে দিয়ে মান্না দে কিংবা আব্দুল আলীমের পছন্দসই গান শুনতে পারেন ,বন্ধুদের সঙ্গে কিছুক্ষন কথা বলতে পারেন এতে করে আপনার মাথার ভারী বোঝা টা তো হালকা হবেই সাথে পড়াতেও মনোযোগ আসবে ।
বিশ্লেষন ০৩ঃ-ব্যায়াম
গবেষকরা মনে করেন শারিরিক পরিশ্রম বা খেলাধুলা অতি সহজেই মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে ব্যায়াম বা খেলাধুলার কারনে শরীরের হরমোনের বিকাশ ঘটে খানিকটা অন্যভাবে আর স্বাভাবিক ভাবে তার সুপ্রভাব পড়ে মনোযোগে পড়াশোনাও সহজ হবে আর তাতে ভালো ফলাফল করাও সহজ হবে।
বিশ্লেষন ০৪ঃ-মস্তিষ্কের খাবার
পড়াশোনার মনযোগের সাথে মস্তিষ্কের খাবার কি অবাক হচ্ছেন গবেষনায় দেখা গেছে কোন কাজ করার সময় চুইংগাম চিবোলে  অধিক হারে মনোযোগ বৃদ্ধি হয় এবং মনোযোগ বাড়াতে ব্যবহার করতে পারেন চুইংগাম তবে লক্ষ্য রাখবেন তা যেন অবশ্যই সুগার ফ্রী বা চিনি মুক্ত হয়। এর সাথে নানা ধরনের বাদাম ,শাকসবজি ,ফল ,সামদ্রিক মাছ,গ্রীন টি এসব খাবার শরীর ও মস্তিষ্কের জন্য খুব উপকারী । পড়ার মাঝখানে খেতে পারেন টমেটো বা টমেটোর জুস যেখানে প্রচুর ভিটামিন সি এবং পটাশিয়াম রয়েছে এসব খাবার মস্তিষ্কের সঠিক গঠনে সহয়তা করে থাকে। নিয়মিত খাবারের সাথে দুধ,ডিম,মিনারেল এবং আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে । বিশ্বের অনেক স্কুলে বাচ্চাদের আপেল খেতে দেওয়া হয় প্রতিদিন দু একটা আপেল তাই আপনিও খেতে পারেন।
বিশ্লেষন ০৫ঃ-বিরতি দিয়ে পড়বেন
একটানা ৩-৪ ঘন্টা না পড়ে বিরতী দিয়ে পড়বেন কারন গবেষনা বলে একজন মানুষ একটানা ৪০ মিনিটের বেশি মনোযোগ দিতে পারে না তাই একটানা মনোযোগের জন্য একটানা মনের ওপর বল প্রয়োগ না করে প্রতি ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পড়ার পরে একটা ছোট বিরতী নিয়ে নিন কিন্তু এই বিরতিতে টিভি কম্পিউটার অথবা স্মার্টফোন নিয়ে ব্যস্ত হবেন না তা হলে হয়ত পাঁচ মিনিটের বিরতি শেষে দেখবেন টাইম মেশিনে করে দুই তিন ঘন্টা পরে চলে গিয়েছেন। যখনই পড়তে পড়তে মন উদ্দেশ্যহীনতায় ভুগছে ঠিক তখনই দাঁড়িয়ে পড়বেন কিন্তু রুম ছেড়ে যাবেন না কয়েকবার এই অভ্যাস করলে দেখবেন আর এরকম হচ্ছে না ।

বিশ্লেষন ০৬ঃ- ঘুমিয়ে নিন
অনেকক্ষণ ধরে পড়লে মস্তিষ্কে বড় ধরনের চাপ পড়ে ফলে মস্তিষ্ক আর কাজ করতে পারে না এক্ষেত্রে আপনি যদি কিছুটা সময় ঘুমিয়ে নেন তাহলে ব্রেনের রিফ্রেশ হবে এর ফলে আপনার ব্রেন সহজেই পড়া ধরতে পারবে। এজন্য কিছুটা চাপ কমাতে অবশ্যই কিছুটা ঘুমিয়ে নিন । একজন মানুষের দৈনিক ৭-৮ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন পর্যাপ্ত না ঘুমালে মস্তিষ্ক ঠিকঠাক ভাবে কাজ করে না এবং মনোযোগ ও কমে যায় ।

তো আর দেরী কেন টেকনিকগুলো অনুযায়ী কাজ করতে থাকুন ।।

Comments (6)

  • jobaercse

    jobaercse

    July 16, 2019 - 9:26 am

    nice i try it

  • khab

    July 16, 2019 - 10:13 am

    jdyrshrj7ui

  • Dj Biswas

    November 16, 2019 - 9:49 pm

    খুব ভাল লাগল

  • Tahmid hasan

    April 8, 2021 - 10:01 am

    Nice post vai…khub valo laglo

  • জয়ন্ত সেন

    November 14, 2021 - 2:27 pm

    অনেক ভালো লাগল নিয়মগুলো,, ধন্যবাদ

Leave A Comment