Study LightsStudy Lights

Blog Details

  • Home
  • Blog
  • Blog
  • উইন্ডোজ সার্ভার ২০১৯ কি? কেন ব্যবহার করা হয়?

উইন্ডোজ সার্ভার ২০১৯ কি? কেন ব্যবহার করা হয়?

আসসালামু আলাইকুম, স্ট্যাডি লাইটসের পক্ষ থেকে সকলকে স্বাগতম আজ থেকে আমাদের নতুন টিউটোরিয়াল সিরিজ; উইন্ডোজ সার্ভার ২০১৬ শুরু হচ্ছে  আজকে আমরা জানার চেস্টা করবো উইন্ডোজ সার্ভার কি এবং উইন্ডোজ সার্ভারের বেসিক ধারনা ;এর পর আমরা ধীরে ধীরে উইন্ডোজ সার্ভার ২০১৬ সম্পূর্ণ করার চেস্টা করবো; প্রথমে আমরা উইন্ডোজ সার্ভার কি সেটা জেনে নেই;

উইন্ডোজ সার্ভার কি?

উইন্ডোজ সার্ভার হচ্ছে একটি অপারেটিং সিস্টেম ঠিক একই রকম যেমনটি আমরা অ্যাস ইউজিয়াল আমাদের কম্পিউটারে যে ওএস ব্যবহার করি; যেমন ইউন্ডোজ ১০,লিনাক্স ইত্যাদি; আমরা জানি ইউন্ডোজ এর প্রস্তুতকারক হচ্ছে মাইক্রোসফট; ঠিক সার্ভারের প্রস্তুতকারক ও মাইক্রোসফট; মূলত উইন্ডোজ সার্ভার হলো সার্ভার কম্পিউটার ম্যানেজ করার জন্য ইউজ করা হয়ে থাকে; এরমানে প্রায় সকল ক্ষেত্রে উইন্ডোজ সার্ভার এডিশনকে বিজনেস সেটিং এ ইউজ করা হয়;

উইন্ডোজ সার্ভার নাম হলেও এটি দেখতে কিন্তু সাধারণ উইন্ডোজ ভার্সনের মতোই; তৎকালীন সময়ের উইন্ডোজ এর কনজিউমার এর উপরে ভিত্তি করেই উইন্ডোজ সার্ভার ভার্সনের ডিজাইন করা হয়;

যেমন- উইন্ডোজ সার্ভার ২০০৩ আসলে উইন্ডোজ এক্সপি এর সার্ভার ভার্সন ছিল; আর বর্তমানের উইন্ডোজ সার্ভার ২০১৬ এবং ২০১৯ হচ্ছে উইন্ডোজ ১০ এর সার্ভার ভার্সন!

সাধারণ উইন্ডোজ এবং উইন্ডোজ এর সার্ভার ভার্সন সেইম কোডের উপরে তৈরি করা ফলে এরা দুজনেই অনেক একই ফাংশন পারফর্ম করে; এই জন্য নর্মাল উইন্ডোজ আর উইন্ডোজ সার্ভারের স্টার্ট মেন্যু, ট্যাস্কবার, আইকন ইত্যাদি দেখতে সিমিলার;সাথে এই দুই ভার্সনের উইন্ডোজেই একই প্রোগ্রাম যেমন- ব্রাউজার, ফটো এডিটর ইত্যাদি ইন্সটল করে ইউজ করা যায়;

 

 

তবে এই দুই ভার্সনের উইন্ডোজে মিলের থেকে অমিল গুলোই বেশি, চলুন এবার সেগুলো নিয়েই আলোচনা করা যাক…

উইন্ডোজ সার্ভারে এন্টারপ্রাইজ ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার রয়েছে

উইন্ডোজ সার্ভারে স্পেসিফিক অনেক ফিচার অ্যাড করা যেতে পারে, যেমন; Windows Deployment services, DHCP services, এবং Active Directory Domain Services; এই ফিচার গুলো সাহায্যে অপারেটিং সিস্টেমকে আলাদা মেশিন থেকে রিমোটলি চালানোর জন্য সহায়ক করে তোলে; ওয়েব সার্ভার সেটআপ, ক্লায়েন্ট মেশিনের জন্য স্ট্যাটিক আইপি সেটআপ, ডোমেইন সেটআপ, ডোমেইন ইউজার সেটআপ; এই জিনিষ গুলো উইন্ডোজ ১০ এ ডিফল্ট ভাবে থাকে না; তবে থার্ড পার্টি সফটওয়্যার ইউজ করে উইন্ডোজ ১০ এ ও এগুলোকে এনাবল করা যেতে পারে;

 

সাথে উইন্ডোজ সার্ভার এডিশনে SMB Direct ফিচার মজুদ রয়েছে, যেটা দ্রুততর ফাইল শেয়ারিং এর জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে;এই টাইপের সিমিলার ফিচার কেবল উইন্ডোজ ১০ এর প্রো ভার্সনে পাওয়া যেতে পারে যেটা বিশেষ করে ওয়ার্ক ষ্টেশনের জন্য ইউজ করা হয়;

তাছাড়া উইন্ডোজ সার্ভার আরো অনেক কম্পিউটারের সাথে মিলিত হয়ে কাজ করতে পারে; এরমানে একেক কম্পিউটার একেক সার্ভার রোল এবং ফাংশন হ্যান্ডেল করে একত্রে কাজ করতে পারে;

উইন্ডোজ সার্ভার আরো বেটার হার্ডওয়্যার সাপোর্ট করে

উইন্ডোজ ১০ এর তুলনায় উইন্ডোজ সার্ভার এডিশন আরো বেটার হার্ডওয়ার্ড সাপোর্ট করার ক্ষমতা রাখে; যেখানে উইন্ডোজ ১০ সর্বচ্চ ২ টেরাবাইট সাইজ পর্যন্ত র‍্যাম সাপোর্ট করতে পারে সেখানে উইন্ডোজ সার্ভার ২৪ টেরাবাইট পর্যন্ত র‍্যাম অ্যালাউ করে; ডেক্সটপ ইউজারদের এতো হাই ক্যাপাসিটি র‍্যামের দরকার পরে না, কিন্তু সার্ভারের হিসেব আলাদা, সেখানে অনেক ইউজার থাকে এবং অনেক অ্যাপ্লিকেশন রান করাতে হতে পারে;

 

শুধু মারাত্মক ক্যাপাসিটির র‍্যাম সাপোর্টই নয়, উইন্ডোজ সার্ভার ৬৪টি সিপিইউ সকেট সাপোর্ট করতে পারে, এর মানে একসাথে এটি ৬৪টি পর্যন্ত সিপিইউ চালাতে পার;যেখানে উইন্ডোজ ১০ হোম এডিশন ১টি ফিজিক্যাল সিপিইউ এবং উইন্ডোজ ১০ প্রো দুইটি ফিজিক্যাল সিপিইউ সাপোর্ট করতে পারে;সাথে উইন্ডোজ ১০ এর ৩২-বিট ভার্সন কেবল ৩২ সিপিইউ কোর সাপোর্ট করে ও ৬৪-বিট ভার্সন ২৫৬ কোর পর্যন্ত সিপিইউ সাপোর্ট করে ;— কিন্তু উইন্ডোজ সার্ভার ভার্সনে কোন কোর লিমিট নেই;

এতোবেশি কনফিগারেশন শুনতেও অনেকটা হাস্যকর লাগতে পারে, কিন্তু সার্ভার কম্পিউটারে এগুলোর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে; সার্ভারে একসাথে শতশত ইউজার থাকতে পারে, একটি কোম্পানির সার্ভার তাদের হাজারো কর্মচারী একসাথে অ্যাক্সেস করতে পারে, সুতরাং সার্ভারে হাই এন্ড হার্ডওয়্যার থাকা অনেক যুক্তিযোগ্য!

উ ইন্ডোজ সার্ভারে আলাদা ফিচার গুলো থাকে না

উই ন্ডোজ সার্ভার এডিশন বিশেষ করে এন্টারপ্রাইজ ইউজের জন্য তৈরি করা;, এতে কনজিউমার লেভেল ফিচার গুলো যেমন- করটানা, মাইক্রোসফট স্টোর, মাইক্রোসফট এজ, টাইমলাইন; ইত্যাদি ইনক্লুড করা থাকে না; এতে আগে থেকেই উইন্ডোজ ১০ এর মতো অনেক অ্যাপ ব্যান্ডেল আঁকারে ইন্সটল করা থাকে না;

উইন্ডোজ সার্ভার বিশেষ করে প্রো ইউজারদের জন্য ডিজাইন করা, এতে পাওয়ার ইউজার ফিচার যেমন- কম্যান্ড প্রম্পট, এবং আলাদা অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ টুল গুলো থাকে;উইন্ডোজ সার্ভারে সাধারণ মাইক্রোসফট অ্যাকাউন্ট দিয়ে সাইন-ইন করা যায় না, বরং লোকাল অ্যাকাউন্ট বা ডোমেইন অ্যাকাউন্ট ইউজ করে সাইন-ইন করা হয়;

উইন্ডো জ সার্ভার আরো বেশি দামী

আপনার কাছে যদি উইন্ডোজ ৭, ৮, ১০ এর কী থাকে সেক্ষেত্রে ফ্রিতে উইন্ডোজ ১০ ইন্সটল করা যেতে পারে। তারপরে অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যারা অনেক কমদামে উইন্ডোজ ১০ কী বিক্রি করে থাকে। অপরদিকে উইন্ডোজ সার্ভার ২০১৬ বা ২০১৯ এর কী কেনা এতোটা সহজ ব্যাপার নয় (যেহেতু উইন্ডোজ সার্ভার এডিশন বিশেষ করে বিজনেসের জন্য তৈরি করা);

হ্যাঁ, উইন্ডোজ সার্ভার এডিশন এর লাইসেন্স অনেকবেশি দামী; আপনি কেমন বিজনেস রান করেন আপনার কতোগুলো সার্ভার কম্পিউটার রয়েছে ইত্যাদি ফ্যাক্টরের উপরে নির্ভর করে উইন্ডোজ সার্ভার লাইসেন্স এর দাম $500-$6200 পর্যন্ত লেগে যেতে পারে; উইন্ডোজ সার্ভার বিশেষ করে বিজনেসের জন্যই তৈরি করা হয়েছে এবং সেই অনুসারে এর দাম সেট করা হয়েছে;

 

আরো পড়ুনঃ মোবাইল থেকে কোনো কিছু ডিলিট করা হলে,সেইগুলি কোথায় যায়?

পুরো পোস্ট টি ভিডিও আকারে দেখুনঃ

Leave A Comment