হ্যাকার দের ভিতর দুইটা ভাগ আছে (কারও কারও মতে)
১. কোডার: এরা মূলত হ্যাকিং এর টেকনিক গুলো এপ্লাই করে। আগে থেকে বানানো টুলস, ডিভাইসের উপযুক্ত ব্যবহার করে।
২. মেকার: এরা আসলে বিভিন্ন হ্যাকার টুলস বা ডিভাইস তৈরী করে থাকে। কোন হ্যাকিং এর প্রয়োজন অনুসারে বিশেষ ধরণের টুলস বা ডিভাইসের কাজ মূলত এরাই সবটা করে।
( বহুল আলোচিত এডওয়ার্ড স্নোডেন এই টুলস মেকারের ভালো উদাহরণ। বিস্তারিত জানতে চাইলে উনাকে নিয়ে নির্মিত মুভি দেখুন )
তবে দক্ষ সিকিউরিটি এক্সপার্ট এই দুই ধরণের কাজেই দক্ষ থাকে। প্রয়োজন পড়লে ছোটখাট টুলস একই বানাতে পারে।
কিভাবে টুলস বানাবেন ?
এটার আগে জিজ্ঞেস করুন, কেন বানাবেন ? কম্পিউটারের কাজ ই হলো repetative কাজ বা দ্রুত কাজ গুলো করে দেয়া, যা একজন মানুষ করতে গেলে হয় একঘেয়েমি বা ধীরে হতে পারে। টুলস এর কাজ ই মূলত এটা; একটা কিছুর নিরাপত্তা পরীক্ষা করতে গিয়ে বারবার একটা কাজ করার চেয়ে সেই দায়িত্ব কম্পিউটারকে দেয়া, যাতে সে করে দেয়;
যা যা লাগবে:
– ঠিক করুন কি কাজে লাগাবেন;
– ওই কাজটা কিভাবে সম্পন্ন হয় – যেমন ধরুন একটা ওয়াইফাই এর টুলস বানাবেন; এর আগে জেনে নিবেন ওয়াইফাই কিভাবে কাজ করে, রাউটার কিভাবে কাজ করে;
– পাইথন বা সি প্রোগ্রামিং দিয়েই অধিকাংশ টুলস লেখা হয়; যদি ওয়েব সাইটের জন্য বানাতে চান তাহলে পাইথন বা জাভাস্ক্রিপ্ট ভালো হবে;
– প্রোগ্রামিং জানা থাকলে শুরুতেই মোটামুটি ধারণা হয়ে যাবে প্রোগ্রাম করা নিয়ে; তারপরও প্রোগ্রাম লেখার সময় বিভিন্ন লাইব্রেরী আর ডকুমেন্টেশন এর সাহায্য নেবেন;কেননা প্রোগ্রামের বিভিন্ন জটিল কাজ সম্পন্ন করার জন্য সহজ কিছু বানানো থাকলে কেন নিজে কষ্ট করবেন ?
– আর অবশ্যই, আপনি যেই টুলস বানাতে চান, সেটার মতো কাজ করে বা অনেকটা কাছাকাছি ধরণের কাজ করে, অন্যদের বানানো এমন টুলস গুলো দেখবেন; এতে করে আপনার নিজের টুলস বানানোর অভিজ্ঞতা বাড়বে;
এই যে এত বড় রচনা লিখলাম, এটা যে শুধু নিরাপত্তাতেই লাগবে তা নয়, আপনি সফটওয়ার ডেভেলপার জন্য কোন নিজের মতো টুলস বানাতে চাইলে সেখানেও হেল্প করবে;
Source: QUORA