Study LightsStudy Lights

Blog Details

  • Home
  • Blog
  • Blog
  • সংবাদ পাঠক-পাঠিকারা হাতে কাজ রেখে না দেখে কিভাবে পড়েন?

সংবাদ পাঠক-পাঠিকারা হাতে কাজ রেখে না দেখে কিভাবে পড়েন?

সংবাদ পাঠক -পাঠিকারা হাতে কাজ রেখে না দেখে কিভাবে পড়েন?

নিঃসন্দেহে এই প্রশ্নটির উৎপত্তি হয়েছে টিভিতে খবর দেখার অভিজ্ঞতা থেকে; মূলত টিভিতে টেলেপ্রম্পটার দেখে খবর পড়া হয়; এই টেলেপ্রম্পটারের প্রথম ব্যবহার হয়েছিল ১৯৫২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে; সেই বছরই ইউএস কনভেনশনেও এটি ব্যবহার করা হয়;তারপর আস্তে আস্তে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে; অটোকিউ হলো এই যন্ত্রটির অন্যতম নির্মাতা সংস্থা;

বেতার ও টিভির দুনিয়ায় যাঁরা খবর পড়েন, তাঁদের সংবাদ পাঠক ও পাঠিকা বলা হয়; রেডিওতে এখনও প্রথামাফিক কাগজে লেখা অথবা টাইপ করা লেখা প্রিন্ট নিয়েই খবর পড়া হয়; ফলে, যদি কেউ ভালো করে খেয়াল করে থাকেন বেতার মাধ্যমে খবর শোনার সময়, তাহলে কানে কাগজ সরানো বা ধরার আওয়াজ অবশ্যই আসতে বাধ্য;

টিভিতে সংবাদ পাঠক-পাঠিকা টেলেপ্রম্পটারে দেখে খবর পড়েন; তাও তাঁদের হাতে একগোছা কাগজ দেখে অনেকের মনে প্রশ্নটা আসা স্বাভাবিক; ব্যাপারটা খুবই সাধারণ এবং প্রধানত দু’টি কারণ রয়েছে।

প্রথমটা হলো, এটা পুরনো দিনের ঐতিহ্যকে বজায় রাখা; এটাকে খবর পড়ার অন্যতম স্টাইলও বলা যেতে পারে; তাতে হয় কি, ব্যাপারটা অনেকটা মেকী ধরণ ছেড়ে স্বাভাবিকভাবে উপস্থাপন করা যায় দর্শকের সামনে;

দ্বিতীয় কারণ হলো, জরুরি সময়ের জন্য তৈরি থাকা; জরুরি কথা এই কারণে বলা, কারণ সংবাদ পাঠ এমন একটা ব্যাপার যেটা লাইভ দেখেন দর্শকরা;ফলে, মেশিন যদি কোনও কারণে কাজ করা বন্ধ করে দেয়, তাহলে সংবাদ পাঠক বা পাঠিকাকে অন-এয়ার দর্শকের সামনে অপ্রস্তুত অবস্থায় পড়তে হবে না; তিনি অনায়াসে হাতে থাকা কাগজ দেখে বাকি খবর সুষ্ঠুভাবে পরিবেশন করে দিতে পারবেন; কারণ, টিভিতে সংবাদ পাঠক-পাঠিকাকে খুব কম সময়ই স্ক্রিনে দেখা যায়; বেশিরভাগ সময়ই সাপোর্টেড ভিডিও আমাদের সামনে তুলে ধরা হয়, খবর পরিবেশনাকে আরও জীবন্ত করে তুলতে; টেলিভিশন চ্যানেলের জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণই হলো সংশ্লিষ্ট স্থানে না গিয়েই আমরা যেখানে আছি সেখানেই ঘটনা প্রত্যক্ষ করতে পারি, তা সে রেকর্ড করা হোক, কিংবা সরাসরি ঘটনাস্থল থেকে সম্প্রচার;

অনেক সময়তেই দেখে থাকবেন, সংবাদ পাঠক-পাঠিকা খবর টেলেপ্রম্পটারে দেখে পড়া সত্ত্বেও এক একটা খবর শেষে কাগজের শিট বদলে নেনে পরবর্তী খবরে আসার আগে;

এটার কারণ, পরবর্তী খবরটি সম্পর্কে তিনি সব সময় আপডেটেড থাকেন, তেমনই কোনও কারণে টেলেপ্রম্পটার কাজ করা বন্ধ করে দিলে তিনি অনায়াসে বাকি খবরটি পরিবেশন করে দিতে পারবেন।

অনেকে এটাও লক্ষ্য করে থাকবেন যে সংবাদ পাঠক-পাঠিকা; খবর পড়তে পড়তে হাতে বা হাতের সামনে থাকা কাগজগুলি একবার উল্টে-পাল্টে দেখে নেন খবর পরিবেশন করতে করতে; এর কারণ হলো তাঁর সামনে আর কি কি খবর রয়েছে; পরিবেশন করার জন্য, সেটা তিনি একবার নিজেকে মনে করিয়ে নেন; কখনও কখনও এমনও হয়, আগে থেকে স্থির করা থাকে যে কি কি নিউজ স্টোরি যাবে; কিন্তু, কোনও কারণবশত গুরুত্বপূর্ণ কোনও খবর এসে গেলে কোনও একটি কম গুরুত্বপূর্ণ খবর সরিয়ে তার জায়গায় সেটিকে টেলেপ্রম্পটারে সঙ্গে সঙ্গে জায়গা করে দেওয়া হয়;

পাঠক-পাঠিকার কাছে সেই খবর চলে যায় ঠিকই কানে থাকা ইয়ারপিসের মাধ্য়মে ; কিন্তু, তাও তিনি সেই সময় যে খবরটি বাদ দেওয়া হলো, সেই খবরের কাগজটিতে মার্কিং করে নেন ; কারণ, রোজকার বুলেটিনে যে যে খবর থাকে, তা পুরোপুরি রেকর্ডে তুলে রাখা হয়; মানে কোন দিন কোন বুলেটিনে কি কি খবর গিয়েছে, তার একটা রেকর্ড রাখা; খবর পরিবেশন শেষে যে স্টোরিটি বাদ পড়ল, সেই স্টোরির পরিবর্তে যে স্টোরিটি গিয়েছে, সেটি সেইখানে রেখে দেওয়া হয় পরে;

যেহেতু পুরো ব্যাপারটাই লাইভ; তাই সবসময় মাপঝোক করে খবর পরিবেশন করা কখনই সম্ভব নয়; হাতে থাকা নির্ধারিত স্টোরির কখনও পুরো অংশটাই পড়া হয়, আবার কখনও আংশিক;যতটুকু খবর গেলো, তা দাগ দিয়ে রাখা অবশ্য করণীয়; এই কারণে দেখে থাকবেন, পাঠপ-পাঠিকা কাগজে পেন দিয়ে কিছু একটা আঁচড় কাটেন;;

একইরকমভাবে টিভিতে যখন আবহাওয়া সংক্রান্ত খবর দেওয়া হয়, তখন সঞ্চালক বা সঞ্চালিকা একটি সবুজ ব্যাকগ্রাউন্ডের সামনে দাঁড়িয়ে ওয়েদার নিউজ পরিবেশন অথবা সঞ্চালনা করেন; ডিজিটাল উপায়ে টিভি স্ক্রিনে আমাদের সামনে ভিজ্যুয়াল পেশ করা হয়;যাঁরা ব্যাপারটি সম্পর্কে অবহিত নন, তাঁরা ভাবেন কোনও বড়ো স্ক্রিনের সামনে দাঁড়িয়েই বোধ হয় ওয়েদার নিউজিটি সঞ্চালনা করা হচ্ছে এবং সঞ্চালক-সঞ্চালিকা স্ক্রিনে ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন, যা দর্শক টিভির পর্দায় প্রত্যক্ষ করছেন;ব্যাপার হলো, এখানেও টেলেপ্রম্পটার দেখে ওয়েদার নিউজ পরিবেশন করা হয়ে থাকে; আর সঞ্চালক বা সঞ্চালিকার হাতে একগোছা কাগজ সংবাদ পাঠক-পাঠিকার মতো একই কারণে ধরিয়ে দেওয়া হয়;

ভিডিও এডিটিংয়ের ভাষায় একে স্পেশাল এফেক্ট বলে;সুপারহিরোর সিনেমার ক্ষেত্রেও একই রকম পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়;সবুজ বা সম্পূর্ণ নীল ব্যাকগ্রাউন্ডের রঙকে টার্গেট করে কম্পিউটারের মাধ্যমে তা পুরো মুছে ফেলা হয় এবং তার জায়গায় কোনও চলমান ভিডিও বসানো হয়; আমরা সেটাই দেখতে পাই; এবার সবুজ ও নীল রঙয়ের ব্যাকগ্রাউন্ডই কেন বাছা হয়, তারও কারণ রয়েছে; কারণ হলো, এই দু’টি রঙয়ের শেড পাওয়া খুবই দুষ্কর; অন্যান্য রঙয়ের ক্ষেত্রে সামান্য ভাঁজ পড়লেও রঙয়ের তারতম্য চলে আসে আলো কম যাওয়ার জন্য; সবুজ রঙয়ের ব্যাকগ্রাউন্ড তৈরির সময়ও সতর্কতা অবলম্বন করতে হয় এবং বিশেষ খেয়াল রাখতে হয়; কারণ, কম্পিউটার শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট রঙটাকেই টার্গেট করে ডিলিট করে। সেখানে যদি আলোর অভাবে সবুজ বা নীল রঙয়ের ডিপ শেড চলে আসে, তাহলে সেই রঙয়ের শেডটি ডিলিট হবে না; ফলে, ভিজ্যুয়ালের মধ্যে সেই শেডটি আমাদের চোখে ধরা পড়ে যাবে;

 

আরো পড়ুনঃ পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র তে ফাটল নাসার সতর্কবার্তা

Source: Google

1 Comment

  • shimu boswas

    August 24, 2020 - 10:01 pm

    kub valo

Leave A Comment