Study LightsStudy Lights

Blog Details

  • Home
  • Blog
  • Blog
  • সিসিএনএ নেটওয়ার্কিং পার্ট-৪ Subnetting

সিসিএনএ নেটওয়ার্কিং পার্ট-৪ Subnetting

ইতোপূর্বে আপনারা নেটওয়ার্কিং সিসিএনএ ১ম,২য়,৩য় পর্ব পড়ে ফেলেছেন অবশ্যই যদি না পড়ে থাকেন পড়ে নিবেন এরপর এই পর্বটি পড়বেন ; আজকে আমরা সাবনেটিং সম্পর্কে আলোচনা করবো;

সাবনেটিং:

বড় নেটওয়ার্কে ছোট নেটওয়ার্কে বিভক্ত করার পদ্ধতিকে বলা হয় সাবনেটিং;সাবনেট করার সময় যে বিষয়টি মনে রাখতে হবে, তা হলো

১২৮ ১৯২ ২২৪ ২৪০ ২৪৮ ২৫২ ২৫৪ ২৫৫

এই ধারাটি মনে রাখলে যেকোন সাবনেটিং করা সম্ভব ;

কেন এই সাবনেটিং?

ছোট নেটওয়ার্ক তৈরি (বড় নেটওয়ার্ক এর পরিবর্তে) দ্বারা, আমরা ভাল নিরাপত্তা, কম কলিশন এবং ব্রডকাস্ট ডোমেইন, এবং প্রতিটি নেটওয়ার্ক বৃহত্তর প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ প্রাপ্ত করা যায় ;

চলুন একটি উদাহরণের মাধ্যমে জানানর চেস্টা করি

একটি শহরে কোন ব্লক নেই শুধু একটা দীর্ঘ রাস্তায় আছে ; এখন যদি ডাকহরকরা করিম সাহেব নামে একজনকে চিঠি দিতে চায় তাহলে যে সমস্যাটি হবে; এই রাস্তায় করিম নামে অনেকেই থাকতে পারে এই অবস্থায় ডাকহরকরার পাগলের মতো অবস্থা হবে; কিন্তু যদি এই রাস্তায় কতগুলো ব্লক থাকে তাহলে সহজেই কোন ব্লকের করিম সাহেব তা সহজেই খুজেঁ বাহির করতে পারবে;

এটি একটি IP সঙ্গে একই দৃশ্যকল্প. ছোট নেটওয়ার্ক তৈরি করে, আমরা আরো কার্যকরভাবে প্রতিটি হোস্ট তথ্য পেতে পারেন;

Class-C  সাবনেটিং :

আমরা আগেই জেনেছি  ক্লাস সি এর প্রথম ২৪ বিট নেটওয়ার্ক আইডি আর বাকি ৮ বিট হোস্ট আইডি; যদি নেটওয়ার্ক আইডি এর সংখ্যা বেশি আর হোস্ট আইডির সংখ্যা কম প্রয়োজন হয় তাহলে আমরা ক্লাস-সি এর আইপি সিলেক্ট করব;

 

একটি সি ক্লাস এর নেটওয়ার্ক দিয়ে নীচে বণর্না করা হলো:

[এখানে নেটওয়ার্ক সংখ্যা হলো কতগুলো নেটওয়ার্ক হবে, হোস্ট হলো কতগুলো হোস্ট হবে আর সাবনেট আইডি হলো সাবনেট গুলো কত করে হবে।]

ইন্টারভিট বোর্ডে সাধারণত এ ধরনের (১৯২.১৬৮.১০.০/২৮)

একটি ব্লক দিয়ে বলবে বলেন তো এখানে কতগুলো নেটওয়ার্ক আছে এবং প্রত্যেক নেটওয়ার্কে কতগুলো হোস্ট আছে;

আমরা নেটওয়ার্ক দেখেই যেহেতু বুঝতে পারছি সি ক্লাস নেটওয়ার্ক তাহলে ২৪ বিট ব্যবহার হচ্ছে নেটওয়ার্কের জন্য ; যেহেতু /২৮ তাহলে /২৪ বিট বাদ দিলে থাকে ৪ বিট ; উপরের ধারা অনুযায়ী তাহলে হয় ২৪০. ইহায় হলো সাবনেট মাস্ক;

সর্ম্পূন প্যাকটিক্যাল দেখিঃ

১৯২.১৬৮.১০.০/২৮

২৫৫.২৫৫.২৫৫.২৪০

নেটওয়ার্ক সংখ্যা=২ =১৬

হোস্টের সংখ্যা= ২-২=১৪

সাবনেট আইডি =২৫৬-২৪০=১৬

[এখানে নেটওয়ার্ক বলতে কোন নেটওয়ার্ক তা বুঝায়, প্রথম হোস্ট বলতে প্রথম হোস্ট এড্রেস, শেষ হোস্ট হলো ব্রডকাস্ট এড্রেস এর আগের এড্রেস আর ব্রডকাস্ট এড্রেস হলো পরবর্তী নেটওয়ার্ক এর আগের এড্রেস।]

 

 

 

 

 

 

**কিছু প্রশ্ন**

এখন যদি প্রশ্ন করা হয় কোনটি ব্যবহার যোগ্য হোস্ট এ্যাড্রেস?

১. ১৯২.১৬৮.১০.২০৮/২৮

২. ১৯২.১৬৮.১০.১৫/২৮

৩. ১৯২.১৬৮.১০.২৪০/২৮

৪. ১৯২.১৬৮.১০.১১৩/২৮

আবার যদি প্রশ্ন করা হয় কোনটি নেটওয়ার্ক এ্যাড্রেস?

১. ১৯২.১৬৮.১০.২০৭/২৮

২. ১৯২.১৬৮.১০.১৪/২৮

৩. ১৯২.১৬৮.১০.৪৮/২৮

৪. ১৯২.১৬৮.১০.১১০/২৮

এছাড়াএ আরেকটি বিষয় জানা থাকা দরকার তা হলো

সাধারণত পয়েন্ট টু পয়েন্ট কানেকশন এর জন্য ব্যবহিত নেটওয়ার্কটি হলো:

১৯২.১৬৮.১০.০/৩০

২৫৫.২৫৫.২৫৫.২৫২

নেটওয়ার্ক সংখ্যা=২ =৬৪

হোস্টের সংখ্যা= ২-২=২

সাবনেট আইডি =২৫৬-২৫২=৪

 

 

সিসিএনএ নেটওয়ার্কিং পার্ট-৩

সিসিএনএ নেটওয়ার্কিং পার্ট-৫

Leave A Comment