ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং নিয়ে আমাদের শিক্ষার্থীদের আগ্রহের শেষ নেই; এই বিষয়ে সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন আসে প্রতিষ্ঠান নির্বাচনের ক্ষেত্রে; সেসকল শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে স্ট্যাডি লাইটসের আজকের এই আয়োজন;
১/ অবশ্যই দেশসেরা প্রতিষ্ঠানে ট্রেনিং করা উচিৎ; শুধু দেশসেরা প্রতিষ্ঠান হলেই হবে না ;ভালো ট্রেনার , ভালো শেখানোর মানসিকতা আছে এরকম প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করতে হবে; কমার্শিয়াল প্রতিষ্ঠান এড়িয়ে চলতে হবে; পারলে সরাসরি ট্রেনারের সাথে কথা বলে প্রতিষ্ঠান নির্ধারন করা উচিৎ; তাতে শিক্ষার্থীদের যোগাযোগের দক্ষতা যেমন বাড়বে তেমনি আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে;
২/ প্রতিষ্ঠান নির্বাচনের ক্ষেত্রে সরকারী প্রতিষ্ঠান এর পরিবর্তে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে প্রাধান্য দেয়া উচিৎ;
৩/ সস্তা কোন প্রতিষ্ঠান না খুজে প্রতিষ্ঠানের মান সম্পর্কে অবশ্যই খোঁজ নেয়া উচিৎ;
৪/ আইটি বা সফটওয়্যার ট্রেনিং এর ক্ষেত্রে অবশ্যই ভেন্ডর সার্টিফিকেট প্রাপ্ত/ স্বীকৃত ট্রেইনার/ ট্রেনিং সেন্টার নির্ধারন করা উচিৎ;
৫/ অবশ্যই লেটেস্ট সফটওয়্যারে ট্রেনিং করতে হবে এবং নতুন নতুন টেকনোলজির উপরে প্রশিক্ষন নিতে হবে;
৬/ অবশ্যই প্রফেশনাল ট্রেনিং হতে হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা সরাসরি কর্মক্ষেত্রে যোগদান করতে পারে;
৭/ কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিক্ষকদের কমিশন প্রাপ্তির অভিযোগ শোনা যায় এবং নিম্ন মানের ট্রেনিং সেন্টারে শিক্ষার্থীদের পাঠানোর অভিযোগ শোনা যায়;সে ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া উচিৎ; সঠিক পরামর্শ পাওয়ার ক্ষেত্রে চাকুরির বাজারে সফলদের সহযোগিতা নেয়া উচিৎ;
৮/ নতুন ভার্সনের আপডেটেড ট্রেনার নির্বাচিত করা;
বাংলাদেশের চাকুরীর বাজার-সাম্প্রতিক অবস্থাঃ
*চাকুরী বাজার এর প্রকৃতি খুব দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে; নতুন নতুন চাকুরীর ক্ষেত্র তৈরী হচ্ছে;
*প্রযুক্তি এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে কর্মস্থলের অবস্থানগত (local presence) গুরুত্ব হ্রাস পাচ্ছে;
*স্থায়ী চাকুরীর (Permanent Job) সংখ্যা কমে যাচ্ছে, চাকুরীদাতা এবং চাকুরীপ্রার্থী উভয়ের সামনেই এখন অনেক পথ খোলা;
*বৃহ প্রতিষ্ঠানের তুলনায় ক্ষুদ্র ও মাঝারী প্রতিষ্ঠানে (SME) চাকুরীর সুযোগ বেশী সৃষ্টি হয়েছে;
*চাকুরীজীবিরা এখন এক খাত (Industry /Sector) থেকে অন্য খাতে চাকুরীর পরিবর্তন করছে;
*চাকুরী দাতারা এখন চাকুরীপ্রার্থী কতটুকু মূল্যের (Value) সেবা প্রদানে সক্ষম তার উপর ভিত্তি করে তার বেতন নির্ধারন করছে;
* ক্রেতা সন্তুষ্টিকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে, কারন ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতার ফলে ক্রেতাদের সামনে এখন বাছাই করার অনেক সুযোগ রয়েছে;
শিক্ষার্থীদের ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট এর সময়েই সচেতন হতে হবে; আপনাদের মনে রাখতে হবে, “বর্তমানে চাকুরীর বাজারে ডিগ্রির চেয়ে দক্ষতাকে বেশী প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে”
নতুন নতুন যে দক্ষতাগুলো প্রয়োজন:
#যোগাযোগের দক্ষতা ( Communication Skill )
#ভাষাগত দক্ষতা (Language Skill)
#তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষতা (IT /Computer Skill)
#পারষ্পরিক সম্পর্ক রক্ষার দক্ষতা (Interpersonal Skill) ইত্যাদি;
চাকুরীক্ষেত্রে পুরষ্কৃত হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় গুনাবলী ও দক্ষতা:
*পেশাদারিত্ব (Professionalism)
*নতুন নতুন ব্যবসায়ের ক্ষেত্র উদ্ভাবন (New Business Development & InnovationSkills )
*উত্সাহ প্রদান দক্ষতা (Motivation Skills)
*নিজের কাজের উপর সুষ্পষ্ট জ্ঞান (In-depth knowledge of own work area)
*নিজের কাজের দক্ষতা উন্নয়নের আগ্রহ (Eagerness for self development)
বাস্তবতাঃ দেশে হাজার হাজার মানুষ বেকার থাকা সত্বেও চাকুরীদাতারা দক্ষ কর্মী পাচ্ছেন না;
সুযোগঃ চাকুরী পাবার আগে দক্ষতা বাড়ান ;
প্রথম পর্ব না পড়লেঃ ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাটাচমেন্ট , ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং কি ? কেনো ? পর্ব-১
ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং আপডেট নিয়মিত পেতে ভিজিট করুনঃ www.trainin.studylights.com