Blog Details

  • Home
  • Blog
  • Blog
  • অফিস বা প্রতিষ্ঠানের চেয়ার গুলোতে তোয়ালে রাখা হয় কেন?

অফিস বা প্রতিষ্ঠানের চেয়ার গুলোতে তোয়ালে রাখা হয় কেন?

অফিস বা প্রতিষ্ঠানের চেয়ার গুলোতে তোয়ালে রাখা হয় কেন?

আমরা প্রায়শই দেখে থাকবো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বা অফিসের চেয়ার গুলোতে তোয়ালে রাখা হয় আজ আমরা এই তোয়ালের রহস্য উন্মেচন করবো!
প্রথমেই ইতিহাস দিয়ে শুরু করবো তোয়ালে-সংস্কৃতির সূত্রপাত ব্রিটিশ আমলে। সে সময় কলকাতার উচ্চপদস্থ বাবুরা মাথায় চুবচুবা তেল মেখে অফিসে এসে চেয়ারে বসে পেছনে মাথা এলিয়ে দিতেন। ব্রিটিশরা দেখল, আয়েসি বাবুদের নিয়ে তো মহা বিপদ! কী করা যায়? লাগাও তোয়ালে। দামি চেয়ার নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না। তোয়ালের রঙ চটে গেলে ধুয়ে নেওয়া যাবে। আরেকটি ব্যাপার ছিল। গরমে বাবুদের যে ঘাম ঝরত, তা মুছে ফেলার জন্যও তোয়ালের দরকার ছিল। বিলেতি সাহেবদের অবশ্য তার প্রয়োজন হতো না, কারণ মাথায় তেল দেওয়া তাদের রীতিবিরুদ্ধ। আর তা ছাড়া, ব্রিটিশ সাহেবদের ঘরে টানাপাখার ব্যবস্থা ছিল, তাঁদের শরীর ঘামে ভিজত না।

ব্রিটিশ গেল, পাকিস্তান এল। পূর্ব বাংলার সাহেবরা সযত্নে তোয়ালে রক্ষা করে চললেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর তোয়ালে অপরিহার্য হয়ে উঠল। কারণ, সদ্য স্বাধীন দেশে অফিসকক্ষের টানাটানি। স্বল্প পরিসরে অনেক সচিব, যুগ্ম সচিব, উপসচিবদের বসে কাজ করতে হয়েছে। কোনো অতিথি এলে তাঁর পক্ষে বোঝা সম্ভব হতো না কে কোন পদমর্যাদার। তাই মর্যাদা অনুযায়ী চেয়ারে তোয়ালে ঝোলানো একটি উত্তম ব্যবস্থা হিসেবে স্বীকৃতি পেল।

পাকিস্তান তোয়ালের-সংস্কৃতি গ্রহণ করেনি। ভারতেও এখন সম্ভবত শুধু দক্ষিণাঞ্চলে এর চল আছে। বাংলাদেশে কমে আসছে। কোনো কোনো মন্ত্রী বা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা তাঁদের চেয়ারে তোয়ালের ব্যবহার করেন না। শুধু তোয়ালে নয়, আমাদের দেশে বড় সাহেবরা বসেন সিংহাসনসম বড় চেয়ারে, আর টেবিলের সামনে অভ্যাগতদের জন্য থাকে ছোট চেয়ারের ব্যবস্থা। বিলেতে, আমেরিকায় কিন্তু সবার চেয়ার সমান।
একদিন আমাদের দেশ থেকে ধীরে ধীরে  চেয়ারে তোয়ালের  চলন বিদায় নেবে।

তথ্যসূত্র: প্রথম আলো

Read More: স্টিফেন হকিং এর এই ১০ উক্তি ফিরিয়ে দিবে আপনার জীবনীশক্তি…।

Leave A Comment