Blog Details

  • Home
  • Blog
  • Blog
  • নতুন ৩২৯টি কারিগরি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের প্রকল্প উপস্থান!

নতুন ৩২৯টি কারিগরি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের প্রকল্প উপস্থান!

কারিগরি শিক্ষা উন্নয়নে মেগা প্রকল্প হাতে নিচ্ছে বাংলাদেশ কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ। টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ স্থাপনের এ প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়েছে গত ২১ শে জানুয়ারী মঙ্গলবার।

এটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ২০ হাজার ৫২৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। ‘উপজেলা পর্যায়ে ৩২৯টি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ স্থাপন’ নামের প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি একটি করে কারিগরি বিষয় অন্তর্ভুক্তির প্রয়োজনীয় সুবিধা সৃষ্টি হবে। সেই সঙ্গে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও এইচএসসি (ভোকেশনাল) কোর্স চালু করার মাধ্যমে দেশব্যাপী কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার সম্প্রসারণ করা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠেয় একনেক বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পরিকল্পনা কমিশনের দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তা সোমবার বলেন, এ প্রকল্পটি একনেকের জন্য তৈরি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়া আরও ৭টি প্রকল্প একনেকে উপস্থাপন করা হচ্ছে। কারিগরি শিক্ষা সংক্রান্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে কর্মক্ষম যুবকদের দেশে ও বিদেশে বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ চাকরি বাজারের চাহিদার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলা এবং ৪টি ট্রেড ও ৪টি স্বল্পমেয়াদি প্যারাট্রেড কোর্স চালু হবে। একনেকে অনুমোদন পেলে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতর।

যেভাবে শুরু হচ্ছে

প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে ৯৮৪ একর ভূমি অধিগ্রহণ ও ক্রয়, একাডেমিক কাম ওয়ার্কশপ ও প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ, শিক্ষক ডরমিটরি, ছাত্রীনিবাস, বাউন্ডারি ওয়াল, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, গভীর নলকূপ, ৫০০ কেভিএ সাবস্টেশন, শহীদ মিনার, মুক্তিযোদ্ধা মনুমেন্ট এবং পানি সংরক্ষণাগার ইত্যাদি করা হবে।

এ বিষয়ে প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য আবুল কালাম আজাদ পরিকল্পনা কমিশনের মতামত দিতে গিয়ে একনেকের জন্য তৈরি প্রকল্প সারসংক্ষেপে বলেছেন, দেশে-বিদেশে বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ চাকরি বাজারের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কর্মক্ষম যুবকদের দক্ষ ও যোগ্য মানবসম্পদে পরিণত করার জন্য প্রকল্পটি বাস্তবায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হলে ৩২৯টি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা কার্যক্রমের শুরু এবং প্রতি বছর উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নতুন শিক্ষার্থী অধ্যয়নের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

সূত্র জানায়, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, দারিদ্র্য দূরীকরণ, দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে টিভিইটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সরকার ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার জন্য কারিগরি শিক্ষায় ভর্তির হার ২০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এ লক্ষ্য অর্জনে কারিগরি শিক্ষাকে গ্রাম পর্যায়ে সম্প্রসারিত করার জন্য কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগ বিদ্যমান ৬৪টি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ১০০টি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ স্থাপন শীর্ষক প্রকল্প দুটি বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এখন দেশের অবশিষ্ট ৩২৯টি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ স্থাপনের জন্য দ্বিতীয় পর্যায়ের এ প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে।

 

একনেক

আরো দেখুনঃ এই লিংকে

 

Leave A Comment