Blog Details

  • Home
  • Blog
  • Blog
  • @ অ্যাটদ্যারেট চিহ্ন কিভাবে আবিষ্কার হলো…?

@ অ্যাটদ্যারেট চিহ্ন কিভাবে আবিষ্কার হলো…?

@ অ্যাটদ্যারেট এই চিহ্নের প্রথম ব্যবহার দেখতে পাওয়া যায় ১৩৪৫ সালে ‘দ্য মানাসেস ক্রনিক্লস’ নামক এক গ্রন্থে।

সেখানে ‘Amen” শব্দটির A এর বদলে ব্যবহার করা হয়েছিলো @ অ্যাটদ্যারেট ।

১৬০০ সাল নাগাদ এ চিহ্ন ব্যবহৃত হতে থাকে দক্ষিণ ইউরোপের বিভিন্ন বাণিজ্যিক নথিপত্রে।

এ চিহ্ন দিয়ে তখন বোঝানো হত ‘আম্ফোরা’। আম্ফোরা হলো রোমান সময় থেকে ব্যবহার হয়ে আসা এক ধরণের গুদামজাত করার পাত্র।

১৮০০ সাল হতে হতে অ্যাটদ্যারেট @ এর নাম হয়ে গেলো ‘the commercial A”।

এটি দিয়ে তখন বোঝানো হত ‘অ্যাট দ্য রেট অফ’। উদাহরণস্বরূপ, মনে করুন আপনার ১০ টি আপেল আছে, যা আপনি ১ টাকা দরে প্রতিটি বিক্রি করবেন।

এ ব্যাপারটিকে সহজে বোঝাতে আপনাকে লিখতে হত এভাবে- 10 apples অ্যাটদ্যারেট  @ 1 taka.

এ চিহ্নের ব্যবহার দিনদিন বাড়তে থাকলেও একেবারে শুরুর দিকের টাইপরাইটার মেশিনে এর স্থান হয়নি।

কিন্তু একটি সর্বজন সমর্থিত চিহ্ন হিসেবে প্রতিষ্টিত হবার পরে এ চিহ্ন টাইপরাইটারে সংযুক্ত করা হয় ১৮৮৯ সালে।

১৯৬৩ সাল নাগাদ এটি আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত ও গ্রহণযোগ্য একটি চিহ্ন হিসেবে স্থান করে নেয়।

রেই টমলিনসন ছিলেন ‘আরপানেট’ এর একজন প্রোগ্রামার। আরপানেটই কিন্তু আজকের ইন্টারনেট এর আদিপিতা।

১৯৭১ সালে এই আরপানেট-এ কর্মরত অবস্থায় রেই তার নিজের কিছু কোড এ প্রোগ্রামে ব্যবহারের মাধ্যমে এক কম্পিউটার থেকে অন্য আরেকটি কম্পিউটারে একটি বার্তা পাঠাতে সক্ষম হন। এটিই পৃথিবীর প্রথম ইমেইল।

এই বার্তা পাঠানোর সময় প্রেরক আর প্রাপক কম্পিউটারকে আলাদা করতে কি চিহ্ন ব্যবহার করা যায় সে সিদ্ধান্ত নিতে রেই তৎকালীন টেলিটাইপ কীবোর্ডের দিকে চোখ বুলান। # ^ * + সহ আরো অনেক চিহ্নকে ছাপিয়ে তার নজর কেড়ে নেয় @।

তিনি ইমেইলে ব্যবহারের জন্য নির্বাচিত করলেন @ চিহ্নকে। আর তাতেই বদলে যায় পৃথিবী।

সেই তখন থেকেই ইমেইল সহ ইন্টারনেটের আরো অনেক ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়ে আসছে @ অ্যাটদ্যারেট চিহ্নটি। আজকের এই দিনে একজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীকে এই চিহ্ন দিনে বহুবার ব্যবহার করতে হবেই।

 

study lights

Leave A Comment